সেপ্টেম্বর মাসে ভারত এবং পাকিস্তান আবার মুখোমুখি হতে চলেছে এশিয়া কাপে। দুই দলকেই রাখা হয়েছে একই গ্রুপে। ফাইল ছবি
গত বছরই এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। নতুন বছর শুরু হতেই জানা গেল, এর পর এই দুই দেশের দ্বৈরথ কবে হতে চলেছে। বিসিসিআই সচিব জয় শাহই সেটা জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি টুইটারে জানিয়ে দেন, সেপ্টেম্বর মাসে ভারত এবং পাকিস্তান আবার মুখোমুখি হতে চলেছে এশিয়া কাপে। দুই দলকেই রাখা হয়েছে একই গ্রুপে।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি জয় শাহ। এ দিনের টুইটে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং তাঁর ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানেই দেখা গিয়েছে, এ বছরের সেপ্টেম্বরে হতে চলেছে এশিয়া কাপ। সেখানে ভারত এবং পাকিস্তান রয়েছে একই গ্রুপে। তৃতীয় দল হিসাবে কোনও দেশকে যোগ্যতা অর্জন করে আসতে হবে। অপর গ্রুপের তিন দল শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলা না হওয়ায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার জন্য এখন ভরসা শুধু এশিয়া কাপ এবং আইসিসি-র প্রতিযোগিতাই। গত বছর এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। দুর্দান্ত খেলেছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। তবে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় রোহিত শর্মার দল। ফাইনালেও মুখোমুখি হতে পারত দুই দল। কিন্তু সুপার ফোরে পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছেও হারায় ভারত ফাইনালে উঠতে পারেনি। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ট্রফি জেতে শ্রীলঙ্কা।
Presenting the @ACCMedia1 pathway structure & cricket calendars for 2023 & 2024! This signals our unparalleled efforts & passion to take this game to new heights. With cricketers across countries gearing up for spectacular performances, it promises to be a good time for cricket! pic.twitter.com/atzBO4XjIn
— Jay Shah (@JayShah) January 5, 2023
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রথম ম্যাচে ভারত খেলতে নেমেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। মেলবোর্নে এক লাখ দর্শকের সামনে সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভদ্রস্থ রানই করেছিল পাকিস্তান। রান তাড়া করতে নেমে এক সময় ভাল মতোই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু বিরাট কোহলির অসাধারণ ইনিংসের সৌজন্যে ম্যাচটি জেতে তারা। ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। সেই ম্যাচে হ্যারিস রউফকে মারা তাঁর দু’টি ছক্কা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। এত কিছুর পরেও ভারত নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে পাকিস্তানই। ভারতকে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়। সেই ইংল্যান্ডই ফাইনালে হারায় পাকিস্তানকে।