ব্যাটে, বলে কিউইদের সঙ্গে পেরে উঠলেন না হার্দিক পাণ্ড্যরা। —ফাইল চিত্র
প্রথম টি-টোয়েন্টি | নিউ জ়িল্যান্ড ১৭৬/৬ (ড্যারিল মিচেল অপরাজিত ৫৯)/ ভারত ১৫৫/৯ (মিচেল স্যান্টনার ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট) | নিউ জ়িল্যান্ড জিতল ২১ রানে
টি-টোয়েন্টি সিরিজ় শুরু হার দিয়ে। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২১ রানে হেরে গেল ভারত। ব্যাটে, বলে কিউইদের সঙ্গে পেরে উঠলেন না হার্দিক পাণ্ড্যরা। সকালে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউ জ়িল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। বোনেরা পারলেও দাদারা পারল না। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহর রাঁচীতে হেরে গেলেন হার্দিকরা।
ভারত যে এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত লড়াই করল সেটার কারণ অবশ্যই ওয়াশিংটন সুন্দর। ব্যাটে, বলে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে একাই লড়লেন তিনি। প্রথম বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট। তার পর ব্যাট হাতে ২৮ বলে ৫০ রান। তিনি না থাকলে হয়তো আরও আগেই শেষ হয়ে যেত ভারত। ওয়াশিংটন নিজের বলে দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে ফেরান মার্ক চ্যাপম্যানকে। তিনি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে নিউ জ়িল্যান্ডের ওপেনিং জুটিটাও ভেঙেছিলেন তিনিই। ওয়াশিংটন যখন ব্যাট করতে নামলেন ভারত তখন ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফিরে গেলেন হার্দিকও। সেই জায়গা থেকে ভারত যে ১৫০ রান পার করবে ভাবেননি অনেকেই। কিন্তু অলরাউন্ডার হিসাবে নিজেকে এই ম্যাচে প্রমাণ করে দিলেন তিনি।
মাঠে শিশির থাকায় আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক। নিউ জ়িল্যান্ড চাইছিল বড় রান তুলে ভারতকে চাপে রাখতে। শুরুতে সেই কাজটা করছিলেন ওয়াশিংটনরা। কিন্তু শেষ ওভারে আরশদীপের দেওয়া ২৭ রান নিউ জ়িল্যান্ডকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে দিল। সেই ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকালেন ড্যারিল মিচেল। নো বলও করেন আরশদীপ। তাঁকে ভারতের ডেথ ওভার বোলার হিসাবে ভাবা হচ্ছে। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে তাঁর বোলিংয়ে। সেটা কাটিয়ে উঠতে না পারলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সমস্যায় পড়বে ভারত।
নিউ জ়িল্যান্ডের হয়ে অর্ধশতরান করেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে (৫২) এবং ড্যারিল মিচেল (৫৯)। ফিন অ্যালেন করেন ৩৫ রান। ভারতের হয়ে ওয়াশিংটন দু’টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন আরশদীপ, কুলদীপ যাদব এবং শিবম মাভি। উমরান মালিক মাত্র ১ ওভার বল করেন। সেই ওভারে তিনি ১৬ রান দেন। তার পর আর তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ভারতের পরের ম্যাচ লখনউয়ে। রবিবার হবে সেই ম্যাচ। তৃতীয় ম্যাচ আমদাবাদে। ১ ফেব্রুয়ারি রয়েছে সেই ম্যাচ। পরের দু’টি ম্যাচ জিততেই হবে ভারতকে।