লোকেশ রাহুল মেনে নিলেন যে দ্বিতীয় ইনিংসে কুলদীপ থাকলে সুবিধা হত ভারতের। —ফাইল চিত্র
শেষ বেলায় ভারতকে বাঁচিয়ে দিলেন শ্রেয়স আয়ার এবং ব্যাটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মীরপুর টেস্টে শেষ ইনিংসে ১৪৫ রান তুলতে হিমশিম খেল ভারতীয় দল। বাংলাদেশের স্পিনাররা ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলে দিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় ভারত কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে জয়দেব উনাদকাটকে খেলিয়েছিল ভারত। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল মেনে নিলেন যে দ্বিতীয় ইনিংসে কুলদীপ থাকলে সুবিধা হত ভারতের।
পরের বারের আইপিএলে পরিবর্ত ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম আসতে পারে। রাহুলের কথাতেও সেই ইঙ্গিত রয়েছে। রোহিত শর্মার পরিবর্তে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া রাহুল বলেন, “টেস্টে যদি আইপিএলের মতো ক্রিকেটার পরিবর্তনের সুযোগ থাকত তা হলে আমি অবশ্যই দ্বিতীয় ইনিংসে কুলদীপকে নিয়ে আসতাম।”
মীরপুর টেস্টে ভারতীয় দলে ছিলেন দুই স্পিনার অক্ষর পটেল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই ম্যাচে অক্ষর নেন তিনটি উইকেট। অশ্বিন নিয়েছেন ছ’টি। ব্যাট হাতে তিনিই ভারতকে টেস্ট জিতিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের দু’জনের সঙ্গে চট্টগ্রামের মতো এই টেস্টে কুলদীপকে নিলেই ভাল হত বলে মনে করছেন রাহুল। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম টেস্টে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন কুলদীপ। তাঁকেই পরের টেস্টে বসিয়ে দেওয়া হয়। রাহুল বলেন, “আমার মনে হয় না কুলদীপকে বসানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। কোনও আক্ষেপ নেই আমার। আমাদের পেসাররা উইকেট নিয়ে স্পিনারদের সাহায্য করেছে। পিচে বেশ বাউন্স ছিল।”
কিন্তু কুলদীপকে বসানো হল কেন? রাহুল বলেন, “মীরপুরে আমরা এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই দলে বদল করা হয়। পিচ থেকে পেসার এবং স্পিনার সব ধরনের বোলাররাই সাহায্য পাচ্ছিল। দলে একটা ভারসাম্য দরকার ছিল। সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।” কিন্তু ২২ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আট উইকেট নেওয়া কুলদীপকে বাদ দেওয়া নিয়ে টেস্টের প্রথম দিনেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন সুনীল গাওস্কর। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রান করেছিলেন কুলদীপ। রাহুল বলেন, “খুব কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল কুলদীপকে বাদ দেওয়া। ওই তো আমাদের আগের টেস্টটা জিতিয়েছিল। কিন্তু দল মনে করেছিল যে ভারসাম্যটা বেশি জরুরি।”