যুজবেন্দ্র চহল। ছবি: বিসিসিআই।
ভারতীয় দলে ব্রাত্য বহু দিন। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকলেও একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি যুজবেন্দ্র চহল। তার পর ব্যক্তিগত জীবনেও ঝড় বয়ে গিয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে লেগ স্পিনারের। ব্যক্তিগত এবং ক্রিকেট জীবনকে নতুন করে গড়ে নেওয়ার জন্য সম্ভবত আইপিএলকেই বেছে নিয়েছেন চহল। মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রমাণ করে দিলেন, শেষ হয়ে যাননি।
কেকেআরের ব্যাটিং লাইনআপকে একাই ভেঙে ফেললেন চহল। অজিঙ্ক রাহানে রিভিউ নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচিয়ে নিলে কী হত বলা যায় না। তার জন্য চহলের কৃতিত্ব এতটুকু কমেনি। তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হিসাবে।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে এসে চহল পরিষ্কার বলে দিলেন ১১১ রানের পুঁজি নিয়েও চাপ নেননি। মুল্লানপুরের ২২ গজই ভরসা দিয়েছিল তাঁকে। লেগ স্পিনার বললেন, ‘‘এই জয়টা দলগত প্রচেষ্টার। আমরা ইতিবাচক থাকতে চেয়েছিলাম শেষ পর্যন্ত। পিচটা ব্যাট করার জন্য সহজ ছিল না। সেটা আমরা জানতাম। লক্ষ্য ছিল পাওয়ার প্লের মধ্যে কেকেআরের দু’-তিনটি উইকেট তুলে নেওয়া।’’
চহল জানালেন পিচ থেকে যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এখানকার পিচ স্পিন সহায়ক। আমার প্রথম বলটাই বেশ ঘুরল। সেটা দেখেই শ্রেয়স আয়ার আমাকে বলে স্লিপে ফিল্ডার রাখতে। কারণ আমাদের দ্রুত উইকেট তোলার দরকার ছিল। হাতে বেশি রান ছিল না। নষ্ট করার মতো সময় আমাদের ছিল না।’’
কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ১১১ রানের পুঁজি নিয়ে? চহল বললেন, ‘‘নিজের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সব সময় ব্যাটারদের আউট করার লক্ষ্য থাকে। স্পিন করাই। গতির হেরফের করি। ব্যাটারদের ভুল করতে বাধ্য করার চেষ্টা করি। বলের গতি কাজে লাগিয়ে যাতে রান তুলতে না পারে, সেটাও মাথায় থাকে আমার।’’ এ বারের আইপিএলে চহলের উইকেটসংখ্যা হল ৬। কেকেআরের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট নিয়ে ৩৪ বছরের স্পিনার প্রমাণ করে দিলেন, ফুরিয়ে যাননি।