হার্দিক পাণ্ড্য। — ফাইল চিত্র।
না ব্যাটিং, না বোলিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোনও সময়েই ভারত নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে হারল ভারত। ম্যাচের পর হারের দায় নিজের ঘাড়েই চাপালেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। প্রশংসা করলেন দলের ক্রিকেটারদের। একইসঙ্গে জানালেন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন তাঁরা।
কোথায় ভারতকে ম্যাচে হারতে হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হার্দিক বোলিং নয়, ব্যাটিংয়ের কথাই তুলে ধরেছেন। বলেছেন, “যদি খেয়াল করেন দেখবেন, প্রথম দশ ওভারের পরেই আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। বিশেষত আমি ব্যাট করতে আসার সময়। তখন দল ভাল খেলছিল। আমি আসার পর রানের গতি কমে যায়। যে ভাবে চেয়েছিলাম সে ভাবে খেলতে পারিনি। বড্ড বেশি সময় নিয়ে ফেলেছিলাম, যার মাশুল চোকাতে হয়েছে।”
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত কি ছিল? হার্দিকের উত্তর, “আমি মনে করি নিজেদের পরীক্ষার মধ্যে ফেলা উচিত। এই ধরনের ম্যাচগুলোয় করা ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। দলের মধ্যে আমরা বার বার একটাই কথা বলি, সুযোগ পেলেই নিজেদের পরীক্ষার মধ্যে ফেলব। একটা-দুটো সিরিজ এ রকম আসবে যাবে। আমাদের কাছে খুব একটা পার্থক্য নেই। আসল কথা হল একটা লক্ষ্যের প্রতি ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা। সেটা ঠিক থাকলেই হবে।”
পরের বছরে আমেরিকাতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যেতে হবে। হার্দিক সে সব ভাবছেনই না। বললেন, “অনেক পথ বাকি। সামনে এক দিনের বিশ্বকাপ আসছে। মাঝে মাঝে হারাও ভাল। অনেক কিছু শেখা যায়। ছেলেদের ধন্যবাদ দিতে চাই। দারুণ খেলেছে প্রত্যেকে। হার-জিত একটা প্রক্রিয়ার অঙ্গ। সেটা থেকে শেখাই আসল।”
বৃষ্টির পরে তিলক বর্মাকে এনে সাফল্য পেয়েছে ভারত। কিন্তু মুকেশ কুমার এবং অক্ষর পটেলকে অনেক দেরি করে ব্যবহার করা হয়েছে। বোলিং পরিবর্তন নিয়ে হার্দিকের ব্যাখ্যা, “আমি আগে থেকে অত পরিকল্পনা করে রাখি না। সেই মুহূর্তে যেটা ঠিক মনে হয় সেটাই করি। দলের ছেলেরা যেটা বলে সেটাও শুনে নিই।”
চলতি সিরিজ়ে যশস্বী জয়সওয়াল, তিলক বর্মা, মুকেশ কুমারদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে হার্দিক বলেছেন, “প্রত্যেকে হৃদয় দিয়ে খেলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে গেলে এটা খুবই দরকার। প্রত্যেকের মধ্যে আত্মবিশ্বাস লক্ষ করেছি। ওদের কুর্নিশ। নিজেরাই এগিয়ে এসে দায়িত্ব নিয়েছে।”