Virat Kohli and Gautam Gambhir

গম্ভীর ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে, কোহলির সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে কী ভাবছে বোর্ড?

রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন গৌতম গম্ভীর। তবে ভারতের কোচ হলে বিরাট কোহলিকে সামলাতে হবে গম্ভীরকে। সেটা কোনও ভাবে সমস্যায় ফেলবে না তো?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ০৯:১৫
cricket

বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) এবং গৌতম গম্ভীর। ছবি: এক্স।

রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন গৌতম গম্ভীর। স্টিফেন ফ্লেমিং, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, মাহেলা জয়বর্ধনেকে টপকে গম্ভীরের নামই দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছে। তবে ভারতের কোচ হলে বিরাট কোহলিকে সামলাতে হবে গম্ভীরকে। সেটা কোনও ভাবে সমস্যায় ফেলবে না তো?

Advertisement

বোর্ড সূত্রে খবর, কোহলির সঙ্গে গম্ভীরের ঝামেলা নিয়ে বোর্ড ভাবছেই না। বোর্ডের এক কর্তা এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “লোকে যতই গম্ভীরের সঙ্গে কোহলির ঝামেলার কথা বলুক, বোর্ডের তা নিয়ে ভাবনা নেই। বোর্ড জানে মাঠের বাইরে কোহলি এবং গম্ভীরের কত ভাল সম্পর্ক রয়েছে। গত বছরের আইপিএলের পর দু’জনে একসঙ্গে বসেছে এবং যদি কিছু সমস্যা থেকে থাকে সেটা মিটিয়ে নিয়েছে।”

অতীতে কোহলি অধিনায়ক হওয়ার সময় কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা লেগেছিল। কুম্বলের কোচিং ধরন পছন্দ ছিল না কোহলির। মূলত তাঁর প্রতিবাদেই পরের বছর কুম্বলেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং কোচ করে আনা হয় কোহলির ‘পছন্দের লোক’ রবি শাস্ত্রীকে। এখন অবশ্য কোহলির নেতৃত্ব নেই। দলে সেই দাপটও নেই।

গম্ভীরের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা কতটা? ওই সূত্রের দাবি, “এখনও পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও কথাবার্তা হয়নি। প্রত্যেকেই সময় নিয়ে গোটা বিষয়টা ভাল করে ভেবে দেখছে। কিন্তু গম্ভীর বাকিদের থেকে এগিয়ে গিয়েছে। আমদাবাদে কেকেআর থাকাকালীনই বোর্ডকর্তাদের সঙ্গে ওর বৈঠক হতে পারে।”

গম্ভীর ও কোহলির বিবাদ নতুন নয়। গম্ভীর যখন কেকেআরের অধিনায়ক তখনই একটি ম্যাচে মাঠে লেগে গিয়েছিল দুই ক্রিকেটারের। মাঠে তর্কের পরে ডাগ আউটে ফিরে চেয়ারে লাথি মারতেও দেখা গিয়েছিল গম্ভীরকে। পরে গত মরসুমে গম্ভীর লখনউয়ের মেন্টর থাকাকালীন একটি ম্যাচে দু’জনের মধ্যে বিবাদ হয়। প্রথমে লখনউয়ের ক্রিকেটার নবীন উল হকের সঙ্গে বিবাদ হয় কোহলির। তার মধ্যে ঢুকে পড়েন গম্ভীর। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে দু’জনকে সরাতে হিমশিম খেয়েছিলেন সতীর্থেরা।

সেই তিক্ততা অবশ্য ভুলে গিয়েছেন দু’জনেই। এ বছর কলকাতা-বেঙ্গালুরু ম্যাচে দু’জনকে দেখা গিয়েছে হাসিমুখে কথা বলতে। গত বছরের বিবাদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন গম্ভীর। কেকেআর মেন্টরের মতে, তাঁদের মধ্যে যা হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি রং চড়িয়ে দেখানো হয়েছিল। সেটা করেছিল সংবাদমাধ্যম।

একটি সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন গম্ভীর। তিনি বলেছিলেন, “সব কিছু টিআরপির জন্য। আমি কী ধরনের মানুষ সেটা সংবাদমাধ্যম জানে না। বিরাটকে নিয়েও ওদের কোনও ধারণা নেই। কিন্তু ওরা চায় বিতর্ক তৈরি করতে। তাই সব কিছু বাড়িয়ে বলে।” কয়েক দিন আগে বিরাট জানিয়েছিলেন, মানুষ অপরকে নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসেন। সেই কারণেই বিতর্ক বাড়ান তাঁরা। কোহলির সঙ্গে একমত গম্ভীর। তিনি বলেছিলেন, “বিরাট একেবারে ঠিক বলেছে। দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে কী হচ্ছে সেটা তাদের মধ্যেই থাকতে দেওয়া উচিত। তাতে বাইরের কারও নাক গলানো উচিত নয়। যা ঘটেছে তা তো দু’জনের মধ্যেই ঘটেছে। তা হলে তারা নিজেরাই সেটা মেটাবে। বাকিদের কথা বলা উচিত নয়।”

খেলার পাশাপাশি বিরাটের নাচের প্রশংসাও করেছিলেন গম্ভীর। তিনি জানিয়েছিলেন, বিরাটের কাছে কিছু শিখলে নাচ শিখতে চান তিনি। গম্ভীর বলেছিলেন, “আমি চাইলেও একটু নাচতে পারব না। বিরাট খুব ভাল নাচে। তাই যদি বিরাটের কাছে আমি কোনও দিন কিছু শিখতে চাই তা হলে নাচ শিখব।”

এর কিছু দিন পরেই একটি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কোহলি। দর্শকদের সামনে প্রশ্নকর্তা গম্ভীরের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন। কোহলি প্রথমে প্রশ্ন শুনে মৃদু হেসেছিলেন। তার পরে বলেছিলেন, “আমি জানি অনেক মানুষই আমার আচরণে হতাশ। আমি নবীনকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। সে দিন আমাকে এসে গৌতি ভাইও জড়িয়ে ধরেছিল। তাই মানুষের জীবনে মশলা শেষ হয়ে গিয়েছে।” বেঙ্গালুরুর মাঠে জলপানের বিরতির সময় গম্ভীর এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন কোহলিকে। ম্যাচের পরেও দু’জনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement