জিমে ওজন তুলছেন বিরাট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
যশপ্রীত বুমরা, হর্ষল পটেলরা হঠাৎ চোট পেলেন। খেলতে পারলেন না এশিয়া কাপে। রবীন্দ্র জাডেজাও চোট পেলেন মাঠের বাইরে। ভারতীয় দলের অনুশীলন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বীরেন্দ্র সহবাগ। তাঁর মতে জিম এবং ট্রেনারদের জন্যই চোট পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে ওজন তোলার দিকে আঙুল তুলছেন সহবাগ। যদিও তাঁর যুক্তি মানছেন না বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং ভারতের প্রাক্তন ট্রেনার চিন্ময় রায়।
মাঝে মধ্যেই জিমে ওজন তোলার ছবি দেন বিরাট কোহলী। অনেক ক্রিকেটারকেই দেখা যায় বিশাল ওজন তুলতে। সহবাগ বলেন, “ভারতীয় ক্রিকেটাররা মাঠের বাইরে বেশি চোট পাচ্ছে সেটা কিন্তু কেউ দেখছে না। বেশির ভাগ ক্রিকেটার জিমে বা মাঠের বাইরে চোট পাচ্ছে। জাডেজা মাঠে কোনও চোট পায়নি। ম্যাচের পর আমরা জানতে পারি যে ও চোট পেয়েছে। এই ব্যাপারটা দেখা উচিত। স্কিলটা জরুরি। ভারতের হয়ে সিরিজ খেলতে যাওয়ার সময় জিমে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। দু’মাস যদি কেউ বিশ্রামে থাকে তখন অবশ্যই জিম করা জরুরি। আমি সচিন তেন্ডুলকরের কাছে এটা শিখেছি। দলে এসে আমি কখনও সচিনকে ছ’আট কিলোর বেশি ওজন তুলতে দেখিনি। এখনকার ক্রিকেটারদের ছবি দেখি। ওরা ৫০, ৬০, ৭০ কিলো ওজন তোলে। এতে চোট পাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।”
বাংলার ক্রিকেটে শক্তি বাড়ানোর অনুশীলন করানো লক্ষ্মী যদিও এক মত নন সহবাগের সঙ্গে। বাংলার কোচ বলেন, “ওজন তোলার ব্যাপার যার যার নিজের। শক্তি বাড়ানোর জন্য ওজন তোলা হয়। কে কতটা ওজন তুলবে সেটা নির্ভর করে তার নিজের শরীরের উপর। অন্য কেউ সেটা ঠিক করে দিতে পারে না। ক্রিকেটারদের ট্রেনার পরামর্শ দিতে পারে তা ছাড়া কেউ এ ব্যাপারে না বলাই ভাল।”
একই সুর চিন্ময়ের গলাতেও। গ্রেগ চ্যাপেলের সময় ভারতীয় দলের সহকারী ট্রেনার ছিলেন তিনি। সহবাগকে কাছ থেকে দেখেছেন। চিন্ময় বলেন, “সহবাগ, সচিন এদের অন্য রকম ক্ষমতা রয়েছে। চোখ, হাতের দক্ষতায় ওরা রান করে দিতে পারে। সকলের সেটা হয় না। সহবাগ সে ভাবে ওজন তুলত না। এখনকার ক্রিকেট বদলে গিয়েছে। শক্তি অনেক বেশি প্রয়োজন। তবে এক জন ক্রিকেটার কতটা ওজন তুলবে সেটা এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। ওজন তুললে যে চোট বাড়বে আমি তা মনে করি না। শক্তি বাড়াতে ওজন তোলা প্রয়োজন। সেটা কতটা তুলবে তা ট্রেনার ঠিক করবে।”