ইংল্যান্ডের উইকেট পড়ার পরে উল্লাস ভারতীয় ক্রিকেটারদের। ছবি: রয়টার্স।
একটি সেশনে রান হল ১২৭। কিন্তু দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেটও পড়ল ৫টি। ‘বাজ়বল’ (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যে হেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) খেলতে গিয়েই ডুবছে ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ইংল্যান্ডের রান ৬ উইকেটে ১৯৪। অর্থাৎ, ম্যাচ জিততে আর মাত্র ৪ উইকেট দরকার ভারতের।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন জ্যাক ক্রলি ও রেহান আহমেদ। দু’জনে মিলে ভালই খেলছিলেন। এক দিক থেকে যশপ্রীত বুমরা ও অন্য দিকে অক্ষর পটেলকে বল দেন রোহিত শর্মা। দু’জনে চেষ্টা করেও উইকেট তুলতে পারছিলেন না। ইংল্যান্ডকে দিনেক প্রথম ধাক্কা দেন অক্ষর। ২৩ রান করে আউট হন রেহান। অক্ষরকে সঙ্গ দেয় ভাগ্য। রেহানের বলটি নিচু হয়ে যাওয়ায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি।
তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড জানিয়েছিল, লক্ষ্য বড় হলেও খেলার ধরন বদলাবে না তারা। সেটাই দেখা যায় ইংরেজ ব্যাটারদের খেলায়। ওলি পোপ ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সুইপ, রিভার্স সুইপ খেলতে শুরু করেন। ফলে রান উঠছিল। কিন্তু সেই সঙ্গে আউট হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছিল। সেটাই হল। ২১ বলে ২৩ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন পোপ। স্লিপে ভাল ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক রোহিত।
জো রুটও প্রথম বলে রিভার্স সুইপ খেলে শুরু করেন। পর পর দুই উইকেট পড়লেও রান তোলার গতি কমায়নি ইংল্যান্ড। ১০ বলে ১৬ রান করে অশ্বিনের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন রুট। ইংল্যান্ডের ইনিংস এক দিকে ধরেছিলেন ক্রলি। অর্ধশতরান করে খেলছিলেন তিনি। ভাল দেখাচ্ছিল ক্রলিকে।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে দু’টি বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। প্রথমে ৭৩ রানে ব্যাট করা ক্রলিকে ফেরান কুলদীপ যাদব। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হন রোহিত। তার পরে বুমরার ভিতরে ঢুকে আসা বল বুঝতে না পেরে ২৬ রানের মাথায় এলবিডব্লিউ হন জনি বেয়ারস্টো।
ইংল্যান্ডের শেষ ভরসা অধিনায়ক বেন স্টোকস সবে নেমেছেন। তিনি সঙ্গে পাবেন বেন ফোকস ও টম হার্টলিকে। তাঁরাও ব্যাট করতে পারেন। এখন দেখার ইংল্যান্ড তাদের খেলার ধরন একই রাখে কি না। কারণ, যদি এর পরেও তারা একই গতিতে রান তোলার চেষ্টা করে তা হলে তাড়াতাড়ি খেলা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।