Wasim Akram

Wasim Akram: পিসিবি-র তরফে আক্রমকে কী বিশেষ সম্মান দিলেন রিচার্ডস

রিচার্ডস বলেন ‘‘আমি প্রথম আক্রমের মুখোমুখি হয়েছিলাম ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায়। ক্রিকেট জীবনের শেষ দিক। আমি খুশি, ওর বল আমাকে বেশি খেলতে হয়নি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:২২
আক্রমের হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন রিচার্ডস।

আক্রমের হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন রিচার্ডস। ছবি: টুইটার থেকে

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড-এর (পিসিবি) হল অফ ফেম-এ জায়গা পেলেন সে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম। প্রাক্তন অলরাউন্ডারের হাতে হল অফ ফেম-এর টুপি এবং স্মারক তুলে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ভিভিয়ান রিচার্ডস।

রবিবার পাকিস্তান সুপার লিগে করাচি কিংস এবং কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ম্যাচের আগে সম্মানিত করা হয় আক্রমকে। ১৯৮৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন আক্রম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পেয়েছেন ৯১৬টি উইকেট। পাশাপাশি ৬,৬১৫ রানও করেছেন।

Advertisement

পিসিবি-র তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আক্রম সেই আট কিংবদন্তির একজন, যাঁরা পিসিবি-র হল অফ ফেম-এর সদস্য। অন্যরা হলেন আবদুল কাদির, ফজল মাহমুদ, হানিফ মহম্মদ, ইমরান খান, জাভেদ মিয়াঁদাদ, ওয়াকার ইউনিস এবং জাহির আব্বাস। সকলকেই আগামী দিনে পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে এই সম্মান প্রদান করা হবে।’’ আক্রমকে সম্মানিত করার মুহূর্তের ভিডিও টুইট করেছে পিসিবি।

নিজের দেশের ক্রিকেট সংস্থার থেকে এমন সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত আক্রমও। প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডসের মতো কিংবদন্তির হাত থেকে এমন সম্মান পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। উনি ক্রিকেটের অন্যতম বিগ্রহ। তা ছাড়া এমন একটা মাঠে সম্মান পেলাম, যেটা ক্রিকেট খেলার সময় আমার ঘরের মাঠ বলে পরিচিত ছিল।’’

প্রাক্তন ক্রিকেটারদের এ ভাবে সম্মানিত করার উদ্যোগ নেওয়ায় পিসিবি-র প্রশংসা করেছেন আক্রম। বলেছেন, ’১৮ বছরের বেশি সময় পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার পুরস্কার পেলাম। ৪৬০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি আমি। আমার নেওয়া প্রতিটি উইকেট এবং রান অমূল্য। আমি আমার সমস্ত ভক্তকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওঁরাই আমার সব থেকে বড় শক্তি ছিলেন। ওঁদের সমর্থনের মূল্যায়ন হয় না। এই দুর্দান্ত সফরে সব সময় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের।’’

আক্রমের হাতে পিসিবি-র বিশেষ সম্মান তুলে দিতে পেরে খুশি রিচার্ডসও। স্মৃতিচারনা করে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি প্রথম আক্রমের মুখোমুখি হয়েছিলাম ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায়। তখন আমার ক্রিকেট জীবনের শেষ দিক। আমি খুশি কারণ, ওর বল আমাকে বেশি খেলতে হয়নি। এখনও মনে আছে এক তরুণ সতীর্থকে বলেছিলাম, এই ছেলেটা কিন্তু তোমাদের প্রচুর সমস্যায় ফেলবে। ও সেটা প্রমাণও করেছে।’’ আক্রমকে দুর্দান্ত ক্রিকেটার এবং ক্রিকেটের মহান দূত বলেও বর্ণনা করেছেন রিচার্ডস।

Advertisement
আরও পড়ুন