অনুশীলনে অভিমন্যু এবং লক্ষ্মী। ছবি: ফেসবুক থেকে
নতুন মরসুমে বাংলা ক্রিকেট দলের অনুশীলন শুরু হয়ে গেল। বুধবার লক্ষ্মীরতন শুক্লর নজরদারিতে ইডেনের ইন্ডোরে চলল অনুশীলন। ছ’টি পিচে, ছ’ঘণ্টা ধরে অনুশীলন করলেন অভিমন্যু ঈশ্বরনরা। মরসুম শুরুর আগে এ ভাবেই অনুশীলন চলবে বলে জানালেন বাংলার নতুন কোচ লক্ষ্মী।
ইডেনের ‘কে’ ব্লকের নীচে নেট খাটিয়ে অনুশীলন করলেন বাংলার ব্যাটাররা। যে ৪১ জনকে বেছে নিয়েছে বাংলা দল, তাঁদের নিয়েই চলল প্রস্তুতি। মনোজ তিওয়ারি যদিও শহরে নেই। অনুশীলনে ছিলেন না মহম্মদ শামি, মুকেশ কুমার। তাঁরা না থাকলেও বুধবারের অনুশীলনে ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন, অনুষ্টুপ মজুমদার, শাহবাজ আহমেদ, ঈশান পোড়েলরা। তাঁদের প্লাস্টিক বল এবং ভেজা টেনিস বলে অনুশীলন করানো হয়। ভেজা টেনিস বলে ব্যাট করলে গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। প্লাস্টিক বল সুইং করে। এই ধরনের বলের বিরুদ্ধে ব্যাটাররা কখনও স্ট্রেট ড্রাইভ মারা অভ্যেস করলেন, কখনও সুইপ, কখনও কভার ড্রাইভ। ছ’টি পিচের একেকটিতে একেক রকম ব্যাটিং অনুশীলন হল।
গত কয়েক মরসুম ধরে বাংলা বার বার ব্যাটিং নিয়ে বিপদে পড়েছে। ঝাড়খণ্ডের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়লেও অন্য বেশ কয়েকটি ম্যাচে বাংলার ব্যাটিং বিপর্যয় দেখা গিয়েছে। সেগুলিই মরসুম শুরুর আগে শুধরে নিতে চাইছেন লক্ষ্মী।
২০২১ সালে রাজনীতি ছাড়ার পর মাঠে ফিরে আসেন লক্ষ্মী। এত দিন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক অনূর্ধ্ব-২৫ দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এই মরসুমে সিনিয়র দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল তাঁর কাঁধে। অনুশীলনের মাঝে লক্ষ্মী বললেন, “কাজটা নতুন হলেও জায়গাটা নয়। মনে হচ্ছে না যে এই কাজটা আগে করিনি। আমি তো এখানেই ছিলাম।” মরসুম শুরু হতে আর দেড় মাস বাকি। তাই এখনই বাড়তি কিছু করতে চাইছেন না তিনি। বললেন, ‘‘এখন শুধু প্রাথমিক ব্যাপারগুলোর দিকে জোর দিতে চাই। বিশেষ কিছু করতে গেলে সমস্যা হত পারে। সেটার দরকারও নেই। আপাতত এ ভাবেই অনুশীলন চলবে। হুক এবং সুইপ শট অনুশীলন করা হয়েছে। বোলাররা একটা নির্দিষ্ট স্পটে বল করার অনুশীলন করেছে।’’
বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু বললেন, ‘‘খুব ভাল সেশন হয়েছে। প্রথম দিন হিসাবে বেশ ভাল। গত মরসুমে ভাল খেললেও ফাইনালে উঠতে পারিনি। সেই জন্য এ বার আরও পরিশ্রম করতে হবে আমাদের।’’ সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বললেন, ‘‘শুরুটা বেশ ভাল হল। আগামী দিনে আরও সকাল থেকে অনুশীলন শুরু করা হবে। ইন্ডোরে চারটে নেট রয়েছে। গ্যালারির নীচে আরও ছ’টা তৈরি করা হয়েছে। লক্ষ্মী ক্রিকেটার হিসাবে খুব কঠোর মানসিকতার ছিল। আমার মনে হয় এই দলের জন্য ও সেরা লোক।’’
গত মরসুমে অরুণ লালের দায়িত্বে থাকা বাংলা দল রঞ্জির সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। এর পরেই তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় লক্ষ্মীকে। বাংলার সাপোর্ট স্টাফে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই জানালেন নতুন কোচ।