প্যাট কামিন্স। ছবি: রয়টার্স
লর্ডসে টেস্টে জনি বেয়ারস্টোর বিতর্কিত রান আউটের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে অ্যাশেজ। ক্রিকেটারদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই তো চলছেই। তাতে জড়িয়ে পড়েছেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীও। লর্ডস টেস্ট হেরে গেলেও ইংল্যান্ডের নতুন কৌশল প্রকাশ্যে এল। খোলসা করেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের রাগিয়ে দিয়ে সাফল্য পেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেটা কাজে লাগেনি।
লর্ডসে ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ক্যারের উদ্দেশে ‘স্লেজিং’ (কটূকথা) করতে দেখা গিয়েছিল ব্রডকে। বিশেষত বেয়ারস্টোর ঘটনার পরে। এ বার ব্রড জানিয়েছেন, সেটা তাঁদের কৌশল ছিল। ইংল্যান্ডের টিভি চ্যানেলে ব্রড বলেছেন, “লর্ডসে খুব কঠিন মুহূর্ত ছিল তখন। মানসিক ভাবে নিজেকে তরতাজা রাখাই উদ্দেশ্য ছিল আমাদের। উল্টো দিকে বেন স্টোকসের কাজ সহজ করে দিতে চেয়েছিলাম। তাই কিছু অস্ট্রেলীয়র সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঝগড়া লাগাতে চেয়েছিলাম। একইসঙ্গে নিজেকে মানসিক ভাবে তৈরি রাখতেও চেয়েছিলাম।”
তবে ব্রডের মতে, খেলার মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও যতটা বড় করে বিষয়গুলো সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে, ততটা বড় কিছু হচ্ছে না মাঠের মধ্যে। ব্রডের কথায়, “অ্যাশেজের ঐতিহ্য, ইতিহাস বাকি সব কিছুর থেকে আলাদা। দুটো দলই সিরিজ়ের সঙ্গে ওতপ্রোত হয়ে জড়িয়ে গিয়েছে। দু’দলেরই সব খেলোয়াড় একে অপরকে ভাল ভাবে চেনে। একইসঙ্গে খাবার খাই আমরা। মাঠের মধ্যে যে বিরাট লড়াই হচ্ছে তা কিন্তু নয়।”
এ দিকে, বেয়ারস্টোকে চতুর্থ টেস্টের দলে রাখা হয়েছে। গত তিনটি টেস্টে আটটি আউটের সুযোগ নষ্ট করেছেন। অনেকেই চাইছিলেন তাঁর জায়গায় বেন ফোকসকে নেওয়া হোক। কিন্তু স্টোকস এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালাম বেয়ারস্টোর উপরেই আস্থা রেখেছেন।