BCCI

ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কই বাদ পড়তে চলেছেন বোর্ডের চুক্তি থেকে

বেশ কিছু কারণে কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করতে দেরি হয়েছে। তবে এ বার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু চমক অপেক্ষা করে রয়েছে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৪
a file picture of indian cricket team

ফেব্রুয়ারিতেই নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির কথা ঘোষণা করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ফাইল ছবি

দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা মিটতে চলেছে। ফেব্রুয়ারিতেই নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির কথা ঘোষণা করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বেশ কিছু কারণে কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করতে দেরি হয়েছে। তবে এ বার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু চমক অপেক্ষা করে রয়েছে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। বাদ পড়তে পারেন একাধিক ক্রিকেটার। তবে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অর্থের পরিমাণও বাড়তে চলেছে।

সূত্রের খবর, শিখর ধাওয়ানকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হতে চলেছে। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দল থেকে আগেই বাদ পড়েছিলেন তিনি। শুধুমাত্র এক দিনের দলেই সুযোগ পেতেন। শুভমন গিল, ঈশান কিশনের মতো ক্রিকেটার এসে যাওয়ায় সেই সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে। ফলে তাঁকে বাদ দিয়েই আগামী দিনের ভারতীয় দল গড়া হচ্ছে। এ বার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়তে চলেছেন ধাওয়ান।

Advertisement

কেউ বাদ পড়লে কারও পদোন্নতি হবে, এটাই স্বাভাবিক। নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। হার্দিক পাণ্ড্য, সূর্যকুমার যাদব এবং শুভমন গিলের পদোন্নতি হতে চলেছে। টি-টোয়েন্টি দলে অলিখিত নেতা হয়ে গিয়েছেন হার্দিক। তাঁকে ‘গ্রেড এ’ তে নেওয়া হতে পারে।

একই তালিকায় ঢুকতে পারেন সূর্যকুমার যাদব এবং শুভমন গিল। সূর্য এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটার। এক দিনের দলেও নিজের জায়গা পাকা করার দিকে এগোচ্ছেন। অদূর ভবিষ্যতে টেস্ট দলেও সুযোগ পেতে পারেন। শুভমনও ক্রমশ তিনটি ফরম্যাটেই নিজের জায়গা প্রতিষ্ঠিত করার দিকে এগোচ্ছেন। বোর্ডের এক সূত্র এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “নির্বাচন এবং নির্বাচক কমিটি তৈরি করার জন্য বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়াও সারা। পরের মাসেই তা প্রকাশ করা হবে।”

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে প্রত্যেক ক্রিকেটারের অর্থের পরিমাণ ১০-২০ শতাংশ বাড়তে চলেছে। শোনা গিয়েছে, ‘গ্রেড এ+’-য়ে থাকা ক্রিকেটারদের অর্থ ৭ কোটি থেকে বেড়ে ১০ কোটি হতে চলেছে। এ ছাড়া, গ্রেড এ, বি এবং সি-তে থাকা ক্রিকেটারদের অর্থের পরিমাণ বেড়ে ৭ কোটি, ৫ কোটি এবং ৩ কোটি হতে চলেছে। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বার্ষিক বেতন বাড়ে। তা ছাড়া এখন ক্রিকেট ম্যাচের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই ক্রিকেটারদেরও বেতন বাড়া উচিত।”

আরও পড়ুন
Advertisement