IPL

‘টাকা সব সময়ই ভাল’, তবু আইপিএলের ধারকাছ দিয়ে যেতে চান না! কেন ব্যতিক্রমী অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক?

আইপিএল বা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ খেললে অনেক রোজগার করা যায়। অজানা নয় স্টার্কের। তবু ক্রিকেটজীবনে অর্থের প্রলোভন এড়িয়ে চলতে চান তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩ ২০:১২
picture of Mitchell Starc

মিচেল স্টার্ক। ছবি: টুইটার।

আইপিএলে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার। ব্যতিক্রম অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। কেন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ খেলেন না? টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার।

ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগের থেকে স্টার্কের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দেশের হয়ে খেলা। তাঁর লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০০টি টেস্ট খেলা। সে জন্য নিজেকে যতটা সম্ভব ফিট রাখতে চান তিনি। সে কারণে আইপিএলের নিলামেও নাম নথিভুক্ত করান না। নিজের দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টার্ক বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দীর্ঘ দিন খেলার লক্ষ্য পূরণ করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে আমার। হ্যাঁ, টাকা সব সময়ই ভাল। কিন্তু আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০০ টেস্ট খেলতে চাই। জানি না, ওই পর্যন্ত পৌঁছতে পারব কিনা। তবে সম্ভাবনা জিইয়ে রাখার জন্য যা প্রয়োজন, সেটা করার চেষ্টা করছি। আশা করি ভালই হবে। আমার মধ্যে এখনও কিছু ক্রিকেট অবশিষ্ট আছে।’’ স্টার্ক বলতে চেয়েছেন, যত দিন পারবেন তত দিন দেশের হয়ে খেলাই তাঁর প্রথম পছন্দ। সে জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগের অর্থের প্রলোভনে প্রভাবিত হতে চান না।

Advertisement

২০১৪ এবং ২০১৫ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন স্টার্ক। ভাল পারফরম্যান্সও করেছিলেন। দু’বছরে আইপিএলে ২৭টি ম্যাচ খেলে ৩৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। তার পর আর আইপিএল খেলেননি তিনি। ২০১৮ সালের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা দিয়ে স্টার্ককে কিনেছিল। যদিও তিনি কেকেআরের হয়ে আইপিএল খেলেননি।

যত দিন সম্ভব দেশের হয়ে খেলতে চাইলেও অবসরের সময় নিয়েও স্পষ্ট ধারনা রয়েছে স্টার্কের। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার মতো এক জন ভাল বাঁহাতি জোরে বোলার উঠে আসার পর তিনি অবসর নিয়ে ভাবতে চান। স্টার্ক বলেছেন, ‘‘১০ বছর ধরে দেশের হয়ে তিন ধরনের ক্রিকেট খেলছি। কাজটা বেশ কষ্টকর। এত দিনে যা অর্জন করেছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। চাইব আমার বলের গতি কমে আসার আগেই কেউ উঠে আসুক। যে আমাকে তাড়া করতে পারবে। আমি নিশ্চিত পরবর্তী বাঁহাতি জোরে বোলার উঠে আসবেই। জানি কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’

সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও আসে খেলোয়াড়জীবনে। ব্যর্থ হলে সমালোচনা হয় খেলোয়াড়দের। ৩৩ বছরের স্টার্কেরও এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। তা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘কয়েক বছর আগেও সমালোচনা নিয়ে ভাবতাম। এখন ভাবি না। নিজেকে একটা সুখের জায়গায় স্থির রেখেছি। এ সব আমাকে আর বিরক্ত করতে পারে না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement