Afghanistan Cricket Team

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আইসিসির নতুন মাথাব্যথা আফগানিস্তান, সাফল্যই কি কাল হল রশিদদের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নতুন সমস্যায় আইসিসি। তাদের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট। তাদের সাফল্যই কি কাল হয়েছে রশিদ খানদের? প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮
cricket

রশিদ খান। —ফাইল চিত্র।

এ বারই প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে নামবে আফগানিস্তান। কিন্তু তার আগে সমস্যায় তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নতুন সমস্যায় আইসিসি। তাদের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট। তাদের সাফল্যই কি কাল হয়েছে রশিদ খানদের? প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ক্রমতালিকায় থাকা প্রথম আট দল সুযোগ পায়। সেই হিসাবেই সুযোগ পেয়েছে আফগানিস্তান। কিন্তু তালিবান সেখানকার ক্ষমতা দখলের পরে মহিলাদের উপর অত্যাচার ও তাদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগে বিদ্ধ সেই দেশ। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে না খেলার অনুরোধ করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড দলকে। তারা অবশ্য সেই অনুরোধ শোনেনি। তার পরেও সমস্যা মিটছে না।

গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানের পুরুষ ক্রিকেট দল নজর কাড়লেও মহিলা ক্রিকেট দল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিতে থাকা ২৫ জন মহিলা ক্রিকেটার দেশ থেকে পালিয়েছেন। তাঁরা এখন অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। উদ্বাস্তু ক্রিকেটারদের নিয়ে দল তৈরি করার অনুরোধ তাঁরা আইসিসির কাছে করেছেন।

২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছিল, তারা সে দেশের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় খেলবে না। তালিবান শাসনে মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। তবে আইসিসি প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের পর ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও গ্রুপ পর্বে খেলবে দুই দেশ। শুধু মহিলা ক্রিকেটার নন, আফগানিস্তানের পুরুষ ক্রিকেটারেরাও সমস্যায় পড়েছেন। রশিদেরা বেশির ভাগই নিজেদের দেশে থাকেন না। তাঁদের হোম গ্রাউন্ডও ভারতে।

এই পরিস্থিতিতে আইসিসির সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। যে ভাবে লাগাতার বিভিন্ন দেশ থেকে আফগানিস্তান ক্রিকেটকে বয়কট করার দাবি উঠছে তার মোকাবিলা করতে হবে। আইসিসির এক মুখপত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “আফগানিস্তান ক্রিকেটকে সমর্থন করা আমাদের কর্তব্য। শুধু পুরুষ নয়, মহিলাদের ক্রিকেটকেও কী ভাবে উন্নত করা যায়, মহিলারা কী ভাবে আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারেন, সে দিকে নজর দিতে হবে। একটা টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছে। তারাই এই বিষয়ে নজর দিচ্ছে।”

কয়েক বছর আগেও আফগানিস্তান ক্রিকেটকে নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছরে তাদের ক্রিকেট সাফল্য পেয়েছে। ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ ও ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনেক বড় দলকে সমস্যায় ফেলেছেন রশিদেরা। আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় আফগানিস্তানের অনেক ক্রিকেটার খেলেন। অন্যান্য দেশের লিগেও খেলেন তাঁরা। এই সাফল্যের ফলেই নজর পড়েছে আফগান ক্রিকেটের দিকে। সেই কারণেই কি তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে? কারণ যা-ই হোক না কেন, সমাধান কঠিন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আইসিসির মাথাব্যথা তাই এখন আফগান ক্রিকেট।

Advertisement
আরও পড়ুন