অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এই ছবি ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রেগে গিয়েছেন অনেকে। ছবি: টুইটার
ছাদ ঢাকা কোর্টও বৃষ্টির জলে ভিজে গিয়েছে। সেই ভেজা কোর্ট তোয়ালে দিয়ে মুছছে বলকিডরা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। প্রযুক্তির যুগে কী ভাবে বলকিডদের দিয়ে পরিশ্রম করানো হচ্ছে, সেটা দেখে রেগে গিয়েছেন অনেকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার এলিনা রিবাকিনা বনাম জেলেনা ওসটাপেঙ্কোর ম্যাচ চলাকালীন। বৃষ্টির কারণে প্রথম সেটের খেলা বিঘ্নিত হয়। রড লেভার এরিনার ছাদ ঢাকার বন্দোবস্ত থাকলেও বৃষ্টি হওয়ার আগে ছাদ খোলা ছিল। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরে ছাদ ঢাকতে কিছুটা সময় লেগে যায়। সেই সময়ের মধ্যে ভিজে যায় কোর্ট। তার পরেই বলকিডদের কাজে লাগানো হয় কোর্ট মোছার জন্য।
Rod Laver Arena ball kids currently drying the court with towels on their knees in 2023! @AustralianOpen pic.twitter.com/xnfsb4ENg4
— Courtside Hospitality - Luxury Experiences (@LuxTennisTours) January 24, 2023
এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাতে তোয়ালে নিয়ে কোর্ট মুছতে ব্যস্ত ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে বলকিডদের আলাদা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার ছেলেমেয়ে এই কাজের জন্য আবেদন করে। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে বেছে নেওয়া হয়। বিনা পারিশ্রমিকে তাদের দিয়ে এ ভাবে খাটানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ অনেকে। সমাজমাধ্যমেই নিজেদের রাগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
ইউএস ওপেনে যারা বলকিডের কাজ করে তাদের প্রতি ঘণ্টায় ভারতীয় মুদ্রায় ১২০০ টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। উইম্বলডনে হিসাবটা সপ্তাহ অনুযায়ী। প্রতি সপ্তাহে বলকিডদের ২৮ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এক টাকাও পায় না বলকিডরা। তার পরেও তাদের এ ভাবে খাটানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে অমানবিক বলেছেন কেউ কেউ। আবার অনেকের মতে, ২০২৩ সালে কোর্ট মুছতে কেন তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনও যন্ত্রের মাধ্যমে কোর্ট কি মোছা যেত না। এই বিতর্কের মধ্যে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি।