-ফাইল ছবি।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপের সংক্রমণে রোগীদের যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা একেবারেই আলাদা। ডেল্টা-র ক্ষেত্রে যেমন বেশ জ্বর আসে, তেমনটা হয় না ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। বরং সর্দি লাগলে আমাদের যে অবস্থা হয় তেমনটাই হয় ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। আবার ওমিক্রনে আক্রান্ত সকলের উপসর্গগুলিও এক ধরনের হয় না। নানা জনের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলি বদলে যায়। কিন্তু ওমিক্রনের সব রোগীর ক্ষেত্রেই যে উপসর্গটি দেখা যায় তা হল— গলা ভেঙে যাওয়া। গলায় খুব ব্যথা। আর নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা-সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সহায়ক প্রতিষ্ঠান ‘ডিসকভারি হেল্থ’-এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রায়ান নোয়াক সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকাতেই প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। তা ভয়াবহ রূপ নেয় প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকাতেই।
রায়ান বলেছেন, ‘‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্ত বহু রোগী পরীক্ষা করে দেখেছি, ডেল্টা সংক্রমণের উপসর্গগুলির চেয়ে ওমিক্রনের উপসর্গগুলি আলাদা। শুধু তা-ই নয়। ওমিক্রনে সংক্রমিত বিভিন্ন ব্যক্তির উপসর্গগুলিও একে অন্যের চেয়ে আলাদা। তবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের সকলের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তাঁদের গলা ভেঙে যায়। গলায় খুব ব্যথা হয়। নাকও বন্ধ হয়ে যায়। সর্দিতে ঠিক এই অবস্থাই হয় আমাদের।’’
রায়ান জানিয়েছেন, ডেল্টা সংক্রমণের উপসর্গগুলি এদের থেকে অনেকটাই আলাদা। ডেল্টা সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগীর বেশ জ্বর আসে। বুকে খুব কফ জমে। ঘ্রাণশক্তি, স্বাদগ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়। অন্ত্রের নানা ধরনের সমস্যা হয়। রোগী অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।