কোন কোন ফলের রস খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে? ছবি: ফ্রিপিক।
শীতকাল এলেই সর্দি-কাশি, অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়? ওষুধ খেয়েও কমতে চায় না। অ্যালার্জির সঙ্গে আপস করা যায় না কোনও ভাবেই। যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরা জানেন, কতটা মারাত্মক হতে পারে অ্যালার্জি! খাদ্যনালি, শ্বাসনালি বা চোখের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় হলে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। বিশেষ করে ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’ হলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। যাঁদের এই সমস্যা থাকে তাঁরা লাগাতার সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কেবল ওষুধ খেয়েই সমস্যার সমাধান হবে না। বরং নিয়মিত কয়েক রকম ফলের রস খেলে উপকার মিলতে পারে।
সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা থাকলে খুব কার্যকরী হতে পারে আনারসের রস। আনারসে ব্রোমালেইন নামে এমন একটি উপাদান থাকে যা মিউকাসের ক্ষরণ বন্ধ করতে পারে। গলা ব্যথা বা গলায় সংক্রমণ হলেও আনারসের রস কাজে আসতে পারে। আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ঠান্ডা লাগার ধাত কমায়! শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। ফলে একটুতেই সর্দি-কাশি-জ্বর বাঁধিয়ে বসার ভাবনা থাকে না!
আনারস ছাড়াও মুসাম্বির রসও উপকারী। মুসাম্বি লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড। হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে দারুণ সাহায্য করে এই উপাদান। এতেরয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংক্রমণ জনিত অসুখ থেকেও সুরক্ষা দিতে পারে। এতে থাকে অ্যান্টি-হিস্টামিন যা অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের প্রকোপ কমাতে পারে।
শীতের সময়ে অ্যালার্জির সমস্যা এমনিতেও বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, রাইনাইটিস থাকলে ঠান্ডা লাগানো যাবে না কোনও ভাবেই। ঠান্ডা লেগে গেলেই লাগাতার হাঁচি শুরু হবে। সর্দি-কাশি কমতেই চাইবে না। সেই সঙ্গে চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়া, চোখ ফুলে লাল হয়ে যাবে। চোখে, নাকের চারপাশে চুলকানিও হবে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থেকে ত্বকের অ্যালার্জিও হয় অনেকের। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, যাকে ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ বলে। তাই ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে এমন খাবারই খেতে হবে।