Big Bang

খোঁজ মিলল ব্রহ্মাণ্ডের জন্মের পর প্রথম তারার ‘দেহাবশেষের’! সমাধান হবে বড় রহস্যের?

ব্রহ্মাণ্ডে তৈরি প্রথম নক্ষত্রের মৃত্যুর পর মহাবিশ্বে ছিটকে পড়েছিল হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, লিথিয়াম গ্যাসের ঘন মেঘমণ্ডল। এ বার সেই মেঘেরই খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ ১৯:০৭
Astronomers discover gas clouds left behind by deaths of first stars.

শক্তি হারিয়ে মহাশূন্যে বিলীন হয়ে গিয়েছিল সেই গ্যাস এবং ধূলিকণার মেঘগুলি। ছবি সৌজন্যে: নাসা।

খোঁজ পাওয়া গেল ব্রহ্মাণ্ডের জন্মের পর তৈরি হওয়া প্রথম তারার ‘দেহাবশেষ’-এর। ব্রহ্মাণ্ডে তৈরি প্রথম নক্ষত্রের মৃত্যুর পর মহাবিশ্বে ছিটকে পড়েছিল হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, লিথিয়াম গ্যাসের ঘন মেঘমণ্ডল। এ বার সেই মেঘেরই খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা।

বিগ ব্যাং বা ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আগের মুহূর্তের মহাবিস্ফোরণের পর মহাবিশ্বের উপাদান ছিল হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং সামান্য পরিমাণ লিথিয়াম। মহাবিস্ফোরণের পর জন্ম নেওয়া প্রথম নক্ষত্র ছিল সূর্যের চেয়ে অন্তত দশ থেকে একশো গুণ বড়। যা গঠিত হয়েছিল ওই সাধারণ মৌলগুলি দিয়েই। যার কেন্দ্রে ছিল অপেক্ষাকৃত ভারী মৌল। তবে পরে ‘সুপারনোভা’ বিস্ফোরণে সেই নক্ষত্রও ধ্বংস হয়ে যায়। যা থেকে জন্ম নিয়েছিল গ্যাস এবং ধূলিকণার ঘন মেঘ। মেঘের মধ্যে আটকে পড়েছিল ধ্বংস হয়ে যাওয়া নক্ষত্রের অনেক ভারী অংশও। যার অন্যতম উপাদান ছিল লোহা। পরবর্তী কালে সেখান থেকেই আবার পরবর্তী নক্ষত্রমণ্ডলের জন্ম হয়েছিল। তবে সেই মেঘের কিছু অংশ থেকে আর কখনও নতুন নক্ষত্রের জন্ম হয়নি। শক্তি হারিয়ে মহাশূন্যে বিলীন হয়ে গিয়েছিল সেই গ্যাস এবং ধূলিকণার মেঘগুলি। এ বার ব্রহ্মাণ্ডের প্রথম তারার সেই অবশিষ্টাংশ মেঘ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

বিজ্ঞানীদের দাবি, সম্প্রতি প্রথম তারার মৃত্যুতে তৈরি তিনটি আদি মেঘমণ্ডলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যার বয়স সূর্যের বয়সের থেকেও কোটি কোটি বছর বেশি। এ প্রসঙ্গে গবেষক স্টেফানিয়া সালভাদোরি বলেছেন, ‘‘প্রথম সৃষ্টি হওয়া নক্ষত্রের মৃত্যুর কারণে তৈরি হওয়া গ্যাসের মেঘের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এর রাসায়নিক উপাদানগুলি শনাক্ত করে অধ্যয়ন করা যেতে পারে। যার ফলে মহাবিশ্বের কোনও অজানা রহস্যেরও উদ্‌ঘাটন হতে পারে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement