গোটাসেদ্ধ রাঁধবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
অনেক বাড়িতেই সরস্বতী পুজোর পরের দিন শীতল ষষ্ঠী পালন করা হয়। সন্তানের মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন মায়েরা। শীতল ষষ্ঠীতে গরম কোনও খাবার খাওয়ার নিয়ম নেই। তাই সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় গোটাসেদ্ধ রান্না করে রাখা হয়। তবে অনেক বাড়িতেই এই গোটাসেদ্ধ রাঁধার চল নেই। কিন্তু আশপাশের বাড়ি থেকে তার গন্ধ ভেসে এলে নিজেকে আটকানো মুশকিল। কে কবে নিমন্ত্রণ করে গোটাসেদ্ধ খাওয়াবেন তার অপেক্ষায় না থেকে বাড়িতেই তা রেঁধে ফেলতে পারেন। রইল সহজ পদ্ধতি।
উপকরণ:
ছোট আলু: ৬টি
কড়াইশুঁটি: ৬টি
সিম: ৬টি
ছোট বেগুন: ৬টি
কচি পালংশাক: ৬ আঁটি
শীষপালং: ৬ আঁটি
রাঙা আলু: ৬টি
কাঁচা মুগডাল: আধ কাপ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ২ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: ২ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: ২ চা চামচ
পাঁচফোড়ন: ১ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা: ৩-৪টি
নুন: পরিমাণ মতো
চিনি: স্বাদ মতো
সর্ষের তেল: ৪ টেবিল চামচ
প্রণালী:
১) প্রথমে ডাল এবং সমস্ত সব্জি ভাল করে ধুয়ে, জল ঝরিয়ে রাখুন।
২) ছোট একটি পাত্রে পরিমাণ মতো হলুদ, ধনে, জিরে এবং লঙ্কাগুঁড়ো জল দিয়ে গুলে নিন।
৩) এ বার বড় একটি পাত্রে পরিমাণ মতো সর্ষের তেল গরম করতে দিন। এর মধ্যে পাঁচফোড়ন এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন।
৪) এ বার একে একে সব্জিগুলো দিতে শুরু করুন। এর পর দিন মুগডাল। এই সময়েই দিয়ে দিন পরিমাণ মতো নুন এবং চিনি।
৫) শাক এবং বেগুন সবার শেষে দিতে হবে। সব্জি থেকে জল বেরোতে শুরু করবে। সেই জলেই গোটা বিষয়টি সেদ্ধ হবে।
৬) শাক-সব্জি একটু ভাজা ভাজা হলে গুলে রাখা মশলার মিশ্রণ দিয়ে দিন। আলাদা করে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
৭) গোটার নিজস্ব একটা গন্ধ আছে। সব কিছু সেদ্ধ হয়ে গেলেই সেই গন্ধ বেরোতে শুরু করবে। মাখো মাখো হয়ে এলেই গ্যাস বন্ধ করে দিন।