১০৫ টাকার জন্য ‘ফ্রিজ়’ হয়েছিল দিল্লির ছোলে ভাটুরে বিক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেটি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। — প্রতীকী চিত্র।
দিল্লির এক ছোলে ভাটুরে বিক্রেতার ‘ফ্রিজ়’ হওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। ওই ছোলে ভাটুরে বিক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০৫ টাকা প্রবেশ করেছিল। তা থেকেই যত বিপত্তি! যে অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা এসেছিল, সেটি নাকি কোনও সাইবার জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। সেই কারণে তদন্তকারী সংস্থার নির্দেশে ছোলে ভাটুরে বিক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করে দেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। বুধবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, ওই ছোটে ভাটুরে বিক্রেতারও জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে। এ ভাবে কোনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করে দেওয়ায় তাঁর দৈনন্দিন জীবন যাপনের উপর প্রভাব পড়ে বলে মনে করছে আদালত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ৭১ হাজার টাকার সাইবার প্রতারণার মামলার তদন্তে এই ছোলে ভাটুরে বিক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করা হয়েছিল। কোন তদন্তকারী সংস্থা এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে, সেটি প্রকাশ্যে আসেনি। সম্প্রতি ওই ছোলে ভাটুরে বিক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০৫ টাকা প্রবেশ করার পরেই অ্যাকাউন্টটি ‘ফ্রিজ়’ হয়ে যায়। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ৭১ হাজার টাকার প্রতারণার মামলায় সন্দেহভাজন একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ১০৫ টাকা পাঠানো হয়েছিল ছোলে ভাটুরে বিক্রেতাকে।
এই অবস্থায় ওই ছোলে ভাটুরে বিক্রেতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর দাবি, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক লাখ ২২ হাজার টাকা রয়েছে। কিন্তু অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ হওয়ার কারণে সেই টাকা তিনি ব্যবহার করতে পারছেন না। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কেবলমাত্র ওই সন্দেহজনক ১০৫ টাকার ভবিষ্যৎ লেনদেনের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে ছোলে ভাটুরে বিক্রেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে হবে। মামলাকারীর জীবন যাপনের অধিকার যাতে খর্ব না হয়, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।
তদন্তকারী সংস্থাকেও এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি জানিয়েছেন, মামলাকারী ওই সাইবার প্রতারণার মূল চক্রী কি না, বা আদৌ জড়িত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি জেনেবুঝে ওই টাকা নিয়েছেন কি না, তা-ও জানা যায়নি। তদন্তের এই পর্যায়ে কোনও ছোট ব্যবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ ভাবে ‘ফ্রিজ়’ করে দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই বলেই মনে করছে আদালত।