ছবি: সংগৃহীত।
দোকান থেকে কিনে আনা কবাব কোনও দিন বাটার পেপারে মুড়িয়ে দেওয়া হয় না। শরীরের জন্য যতই ক্ষতিকর হোক, তা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ছাড়া অন্য কিছুতে মুড়িয়ে দেওয়া যাবে না। খাবার গরম তো থাকে, আবার নরমও থাকে। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই আবার স্যান্ডউইচ, রোল কিংবা র্যাপের মতো খাবার বাটার পেপারে মুড়িয়ে নেন। বিভিন্ন ক্যাফে বা রেস্তরাঁতেও ইদানীং এই পেপার ব্যবহারের চল হয়েছে। বেকিং শিল্পে বাটার পেপার বা পার্চমেন্ট পেপার ব্যবহারের চল অনেক দিনই ছিল। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের চেয়ে বাটার পেপার ভাল হলেও কোনটিই কিন্তু কারও পরিপূরক নয়।
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে খাবার মুড়িয়ে রাখার সুবিধা কী?
১) দীর্ঘ ক্ষণ খাবার গরম থাকে। পরটা, রুটি, লুচির মতো খাবার নরম রাখতেও অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করা যায়।
২) এ ছাড়া রান্নার কাজে যেমন গ্রিল বা বেক করতেও অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করা যায়।
৩) বর্ষায় রুটি বা পাউরুটির উপর সহজেই ছত্রাক পড়ে যায়। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল মুড়িয়ে রাখলে সেই ভয় থাকে না।
বাটার পেপারে খাবার মুড়িয়ে রাখার সুবিধা কী?
১) কেক, কুকিজ় কিংবা পেস্ট্রি তৈরি করতে গেলে অনেক সময়ে বেকিং পাত্রের গায়ে মিশ্রণ আটকে থাকে। কেক সহজে বার করা যায় না। বাটার পেপার বা পার্চমেন্ট পেপার রেখে তার উপর কেকের মিশ্রণ ঢাললে এই সমস্যা হয় না।
২) যে কোনও আকারের, যে কোনও মাপের বাটার পেপার কিনতে পাওয়া যায়। তাই ব্যবহার করাও সুবিধার।
৩) রান্না ছাড়াও রোল, র্যাপ বা স্যান্ডউইচ মুড়িয়ে রাখতেও বাটার পেপার ব্যবহার করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা হল এই ধরনের কাগজ পরিবেশবান্ধব।
কী ধরনের কাগজ ব্যবহার করা ভাল?
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বা বাটার পেপার— কে কোনটি ব্যবহার করবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে কী রান্না করছেন তার উপর। আগুনে পোড়ানো বা ঝলসানোর ক্ষেত্রে যেমন অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করার উপায় নেই। আবার, বেকিং বা র্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে বাটার পেপার ব্যবহার করাই ভাল।