ছবি: সংগৃহীত।
নাম শুনে তো বোঝাই যাচ্ছে একটি কালো আর অন্যটি সাদা। কিন্তু এদের গোত্র এক। মূলত নাকের দু’ধারে এবং ঠোঁটের চারপাশ জুড়ে এদের রাজত্ব। তবে যাঁদের মুখে ব্ল্যাকহেডস হয়, তাঁদের সাধারণত হোয়াইটহেডসের ঝক্কি পোহাতে হয় না। আবার, হোয়াইটহেডস হলেও তাই। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এগুলি কেন হয়?
ব্রণ নয়, কিন্তু ব্রণের মতোই দেখতে সাদা বা হালকা হলুদ রঙের উঁচু, দানাযুক্ত হোয়াইটহেডস মূলত নাকের ডগায় কিংবা ঠোঁটের চারপাশে দেখা যায়। ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্র বা ছিদ্রে সেবাম, মৃত কোষ, ধুলোময়লা জমতে জমতে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অন্য দিকে, চুলের ফলিকলের মুখে সেবাম, মৃত কোষ, ধুলোময়লা জমলে ব্ল্যাকহেডস হয়। বাতাসের সংস্পর্শে এলে অক্সিডাইজ়ড হয়ে যায়। যার ফলে এই অবাঞ্ছিত জিনিসটির রং কালচে হয়ে যায়।
সালোঁয় ফেসিয়াল বা ক্লিনআপ করতে গেলে ‘পুশার’ দিয়ে খুঁচিয়ে ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস তোলা যায়। তবে দক্ষ হাত না হলে এবং সঠিক যত্ন নিতে না পারলে সেখান থেকে ওপেন পোরসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে রূপচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ঘরোয়া পদ্ধতিতেও এই ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়।
১) ত্বকে সেবাম ক্ষরণ এবং ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে টি ট্রি অয়েল। নারকেল বা কাঠবাদামের তেলের মধ্যে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাখলে উপকার মিলবে।
২) বেকিং সোডা এক্সফোলিয়েটর হিসাবে দারুণ কাজ করে। ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা মৃত কোষ, ধুলোময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এই উপাদান। বেকিং সোডার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। হালকা হাতে ঘষে মুখ ধুয়ে নিলে ত্বক ঝকঝক করবে।
৩) ত্বকের যে কোনও সমস্যার সহজ সমাধান হল অ্যালো ভেরা। প্রদাহ হোক বা ব্যাক্টেরিয়ার উপদ্রব, এই ভেষজ কিন্তু দারুণ কাজের। নিয়ম করে অ্যালো ভেরার শাঁস বা জেল মাখতে পারলে এই ধরনের সমস্যা দূর হয়।