Eye Discolorations

কখনও কালচে, ধূসর, কখনও আবার রক্তবর্ণ! চোখ বা চোখের তলার ত্বকের রং বদলে যায় কেন?

চোখ কিংবা চোখের মণির রং কেমন হবে তা অনেকটাই জিনের উপর নির্ভর করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার রং বদলে যাওয়াও স্বাভাবিক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ১০:০৫
What does your eye discoloration say about your health

চোখের রং বদলে যাচ্ছে কি? ছবি: সংগৃহীত।

রাতের পর রাত ঘুম হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে চোখের তলায় কালি পড়া স্বাভাবিক। কিংবা প্রচণ্ড মানসিক চাপ, আঘাত থেকেও চোখের তলায় কালচে ছোপ পড়ে। তবে চোখের তলার চামড়া বা মণির রং কখনও গোলাপি, ধূসর হয়ে উঠতে পারে। চোখের মণি হয়ে উঠতে পারে রক্তবর্ণও। কিন্তু কেন এমনটা হয়?

Advertisement

চোখের চিকিৎসকেরা বলছেন, চোখ কিংবা চোখের মণির রং কেমন হবে তা অনেকটাই জিনের উপর নির্ভর করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার রং বদলে যাওয়াও স্বাভাবিক। তবে প্রাপ্তবয়স্ক কারও চোখে যদি হঠাৎ এমন পরিবর্তন আসতে শুরু করে, তা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। শুধুমাত্র রাত জাগা কিংবা মানসিক চাপ এই ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে না।

কী কী কারণে এই ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে?

১) বর্ষাকালে ব্যাক্টেরিয়াবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। যে কারণে এই মরসুমে কনজাংটিভাইটিসের মতো রোগেরও বাড়বাড়ন্ত হয়। কনজাংটিভাইটিস হলে কিন্তু চোখের রং গোলাপি বা রক্তবর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

২) কোনও কারণে আঘাত লাগলে চোখের ভিতর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যা ‘সাবকনজাংটিভাল হেমারেজ’ নামে পরিচিত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই ধরনের সমস্যা হলে চোখ লাল হয়ে থাকে।

৩) সূর্যের অতিবেগনি রশ্মিও কিন্তু চোখের ক্ষতি করে। যার ফলে চোখ এবং সেই সংলগ্ন ত্বকের রং ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। চোখের চারপাশের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়াও অস্বাভাবিক নয়।

জিন ছাড়াও আরও দু’টি কারণে চোখের রং বদলে যেতে পারে। সেগুলি হল বয়স এবং পরিবেশ। অবশ্য জটিল কোনও রোগভোগের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। তবে তা রোগমুক্তির সঙ্গে সঙ্গে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। যদি তা না হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

চোখ ভাল রাখতে কয়েকটি বিষয়ও মেনে চলা জরুরি। যেমন চোখের চারপাশের ত্বক আর্দ্র রাখা। পর্যাপ্ত জল খাওয়া। বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। রোদচশমা দিয়ে চোখ ঢেকে রাখতে পারলে আরও ভাল হয়। চোখের তলায় কালচে ছোপ দূর করতে ভাল মানের সিরাম মাখা যেতে পারে। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে কাঠবাদামের তেল কিংবা নারকেল তেলও ভাল।

আরও পড়ুন
Advertisement