শেষ পাতে টক দই খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
দই খাওয়ার অভ্যাস শরীরের পক্ষে ঠিক কতটা স্বাস্থ্যকর, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন— সবেতেই টক দইয়ের সমান নজর। সেই সঙ্গে বাড়ায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও। যে কোনও রকম সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে টক দই। পুষ্টিবিদরা সারা বছরই পাতে টক দই রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেকেই তা মেনেও চলেন। শেষ পাতে টক দই খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। বাজারে বিভিন্ন সংস্থার প্যাকেটজাত টক দই পাওয়া যায়। সেগুলিও অনেকে কেনেন। আবার অনেকে বাড়িতেও টক দই পাতেন। বাড়িতে পাতা টক দই নাকি বেশি উপকারী। স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে টক দই। তবে বাড়িতে পাতা টক দই খেলেই হল না। দই কোন পাত্রে তৈরি করছেন সেটাও খুব জরুরি। অনেকেই বাড়িতে স্টিলের বাসনে দই পাতেন। তাতে যে খুব অসুবিধা হয়, তা নয়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, মাটির পাত্রে দই পাতলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। স্বাদেও একটা পরিবর্তন আসে। মাটির পাত্রে দই পাতার কিছু বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।
দই জমতে দেরি হয় না
গরম কালে দই তাড়াতাড়ি জমে। দই পাতার ঝামেলাও কম থাকে। সারা রাত রাখলেই দই জমে পুরো ক্ষীর হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হয় শীতকালে। এই সময় দই কিছুতেই জমতেই চায় না। সারা রাত রেখেও দই ঠিক মতো তৈরি হতে চায় না। শীতকালে তাড়াতাড়ি দই জমাতে চাইলে মাটির পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। মাটির পাত্রে দই খুব দ্রুত জমে। স্বাদেও ভাল হয়।
দই ঘন হয়
মাটির পাত্রে দই পাতানোর আরও একটি সুবিধা হল দই খুব ভাল ঘন হয়। অনেক সময় দুধ আর দইয়ের পরিমাণে ভারসাম্য না থাকলে দই ঠিক জমতে চায় না। তরল ভাব থেকেই যায়। দই পাতার ক্ষেত্রে মাটির পাত্র ব্যবহার করলে এমন হবে না। মাটি জল শোষণ করে নেই। ফলে দই দারুণ ঘন হয়।
অসুস্থতার ভয় থাকে না
স্টিল কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের বাসনে দই পাতার অভ্যাস খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এ ধরনের পাত্রে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো নানা রাসায়নিক পদার্থ মিশে থাকে। দইয়ের মধ্যে সেগুলি মিশে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। দইয়ের মাধ্যমে ক্ষতিকার ওই পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে। ফলে শরীরের অন্দরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। তার চেয়ে মাটির পাত্রে দই তৈরি করতে পারেন। শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা নেই।