Oats Vs Dalia

ওট্‌স না কি ডালিয়া? দ্রুত রোগা হতে কোন খাদ্যের উপর ভরসা রাখবেন?

ওজন কমাতে চাইছেন যাঁরা, তাঁদের কাছে ডালিয়া আর ওট্‌স, দু’টিই জনপ্রিয়। ওজন কমাতে কার্যকরী হলেও পুষ্টিগুণের বিচারে কি দু’টিই সমান?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:০৭
ওজন কমাতে দু’টি খাবার কার্যকরী হলেও পুষ্টিগুণের বিচারে কি দু’টিই এগিয়ে আছে?

ওজন কমাতে দু’টি খাবার কার্যকরী হলেও পুষ্টিগুণের বিচারে কি দু’টিই এগিয়ে আছে? ছবি: সংগৃহীত

শীত পড়তেই শুরু হয়েছে বিয়ের মরসুম। জীবনের এই বিশেষ দিনে নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর দেখাতে চলছে ওজন কমানোর পালাও। রোগা হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। বহু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবু সময় যে হেতু হাতে বেশি নেই, তাই মেদ ঝরানোর দ্রুততম উপায় হিসাবে অনেকেই ভরসা রাখছেন ডালিয়া কিংবা ওট্‌সের উপর। ওজন কমাতে চাইছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে এই দু’টি খাবারই অত্যন্ত জনপ্রিয়। ওজন কমাতে দু’টি খাবার কার্যকরী হলেও পুষ্টিগুণের বিচারে কি দু’টিই এগিয়ে আছে?

ক্যালোরির দিক থেকে তুলনা করলে দেখা যাবে একশো গ্রাম ওট্‌সে পাওয়া যায় ৩৮৯ ক্যালোরি। অন্য দিকে, সমপরিমাণ ডালিয়ায় ক্যালোরির পরিমাণ ৩৪২। ক্যালোরির দিক থেকে দেখতে গেলে দু’টি খাবারের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই।

Advertisement

অন্য দিকে একশো গ্রাম ওট্‌সে রয়েছে ১৬.৯ গ্রাম প্রোটিন এবং ৬৬.৩ গ্রাম শর্করা। আর সমপরিমাণ ডালিয়ায় প্রোটিন রয়েছে ১২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৭৬ গ্রাম।

ডালিয়ার চেয়ে ওট্‌সে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি।

ডালিয়ার চেয়ে ওট্‌সে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ছবি: সংগৃহীত

ডালিয়ার চেয়ে ওট্‌সে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে পেট ভাল রাখতে এবং হজমক্ষমতা উন্নত করতে ওট্‌স বেশ উপকারী। একশো গ্রাম ওট্‌সে ফাইবার থাকে ১০.৬ গ্রাম। আর একশো গ্রাম ডালিয়ায় ফাইবারের পরিমাণ ৬.৭ গ্রাম। ওট্‌স থেকে পাওয়া ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে বিচার করলে দু’টি খাবারের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। কেউ চাইলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দু’টিই খেতে পারেন। ডালিয়ার মধ্যে রয়েছে ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো উপকারী উপাদান। ফলে ওজন কমানোর পাশাপাশি ডালিয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও দারুণ উপকারী। ডালিয়ার সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দেয় ওট্‌সও। রোজের খাদ্যতালিকায় ওট্‌স থাকলে শরীরের ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, আয়রন, প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। হজমশক্তি অত্যন্ত উন্নত হয়। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থাকলে নিয়মিত সকালের খাবারে নিশ্চিন্তে ওট্‌স খেতে পারেন। ভিতর থেকে সুস্থ এবং চাঙ্গা থাকবে শরীর।

আরও পড়ুন
Advertisement