বড় পর্দার মাধ্যমে অভিনয়ে হাতেখড়ি। কিন্তু নায়িকা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। ‘অ্যাসপির্যান্টস’ ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করে ওটিটি পর্দার ‘ক্রাশ’ হয়ে ওঠেন নমিতা দুবে।
১৯৯০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে জন্ম নমিতার। তাঁর বাবা আইএএস আধিকারিক ছিলেন। সেখানেই স্কুলের পড়াশোনা করেন নমিতা।
লখনউয়ের স্কুল থেকে পড়াশোনার পর উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লি চলে যান নমিতা। সেখানকার একটি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক হন তিনি।
কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই অভিনয় নিয়ে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নমিতা। তাই তখন থেকেই নানা জায়গায় মডেলিং করতে শুরু করেন তিনি।
সেই সময়ে পাঁচ মিনিটের জন্য একটি ভিডিয়ো শুট করেন নমিতা। তা থেকে ২০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান তিনি।
কলেজে পড়াকালীন নমিতার সঙ্গে আলাপ হয় টেলি অভিনেতা তুষার শর্মার। একই কলেজের পড়ুয়া ছিলেন দু’জনে। পরে অবশ্য একসঙ্গে ছোট পর্দায় অভিনয় করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের।
কানাঘুষো শোনা যায়, কলেজে পড়ার সময় থেকেই তুষারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নমিতার। তবে আড়ালে আবডালেই প্রেম করতেন তাঁরা। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত কারণে তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে।
স্নাতক হওয়ার পর মডেলিং নিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন নমিতা। খুব কম সময়ের মধ্যেই সেই ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ম্যায় তেরা হিরো’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন বরুণ ধওয়ান, ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ় এবং নার্গিস ফকরি। এই ছবির মাধ্যমেই অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় নমিতার। পার্শ্বচরিত্রে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা যায় তাঁকে।
২০১৪ সালে ‘ইয়ে হ্যায় আশিকি’ নামের একটি হিন্দি ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোট পর্দায় প্রথম অভিনয় নমিতার। তার পর একাধিক ধারাবাহিকে ছোটখাটো চরিত্র টেলিভিশনের পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
ছোট পর্দার নায়িকা হিসাবে নমিতা পরিচিতি পান ২০১৬ সালে। সেই বছর ‘বড়ে ভাইয়া কি দুলহনিয়া’ নামে ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা কুড়োন নমিতা। তার পর ‘গুমরাহ’, ‘বেপনাহ’, ‘জ়িন্দেগি কে ক্রসরোডস’ নামের ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি।
বরুণের সঙ্গে হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে বিশেষ নজর কাড়তে পারেননি নমিতা। তার পর ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’ এবং ‘রেশমি রকেট’ ছবিতে অভিনয় দেখা যায় তাঁর। একাধিক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি।
ছোট এবং বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটির পর্দায়ও পা রাখেন নমিতা। ‘সিস্টার্স’, ‘বাটারফ্লাইজ়’ এবং ‘জ়েব্রা ক্যান্ডি’ নামের ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে নমিতা রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ‘অ্যাসপির্যান্টস’-এর নায়িকা হিসাবে।
‘অ্যাসপির্যান্টস’ নামের ওয়েব সিরিজ়ে ধৈর্যার চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে নমিতার। ওটিটি পর্দার ‘ক্রাশ’-এর তকমা পান তিনি।
সমাজমাধ্যমেও নিজস্ব অনুগামী মহল গড়ে তুলেছেন নমিতা। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় নায়িকার অনুগামীর সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।
সব ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।