আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম নিশ্চিত হয়েছে। তার পরেই নানা ভাবে কমলার ব্যক্তিগত জীবন চর্চায় আসছে। কখনও আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে, কখনও আবার তাঁর স্বামী ডগলাস ক্রেগ এমহফের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁকে ঠকিয়েছিলেন ডগলাস। অন্য নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কমলার স্বামী।
১৯৯২ সালে কারস্টিন ম্যাকিনকে বিয়ে করেছিলেন ডগলাস। পেশায় প্রযোজক ছিলেন কারস্টিন। দুই সন্তান রয়েছে ডগলাস এবং কারস্টিনের। ২০০৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, ডগলাস এবং কারস্টিনের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশের কারণেই নাকি তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। তবে বিচ্ছেদের পরেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ডগলাস এবং কারস্টিনের।
কানাঘুষো শোনা যায়, ডগলাসের দুই সন্তান যে স্কুলে পড়াশোনা করতেন, সেই স্কুলের এক শিক্ষিকার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ডগলাস। সেই তরুণীই নাকি ডগলাসের দুই সন্তানের ন্যানি ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৫ বছর আগে নাকি সেই ন্যানির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ডগলাস। কানাঘুষো শোনা যায়, ন্যানি নাকি অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছিলেন। ডগলাসের পরকীয়া সম্পর্কে জানতে পেরে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারস্টিন।
২০১৩ সালে কমলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ডগলাস। প্রায় এক বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে বাগ্দান পর্ব সেরেছিলেন দু’জনে। ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে বিয়ে হয় কমলা এবং ডগলাসের।
সম্প্রতি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডগলাস বলেন, ‘‘আমার প্রথম স্ত্রী কারস্টিনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন কঠিন সময় এসেছিল। যদিও তার সম্পূর্ণ দায় আমার। কিন্তু আমরা সেই পরিস্থিতি পার করে এসেছি।’’
ডগলাসের মন্তব্যের পর আবার তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়। ডগলাস যে তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন ডগলাসের প্রথম স্ত্রীও।
শনিবার কারস্টিন বলেন, ‘‘বহু বছর আগে ডগলাস এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিই। এর নেপথ্যে নানাবিধ কারণ ছিল। ও আমাদের সন্তানের পিতা হিসাবে আদর্শ। আমার সঙ্গে ওর খুব ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে। ডগলাস, কমলা এবং আমি যে পরিবারের মতো মিলেমিশে রয়েছি, তা ভাবলে আমার গর্ব হয়।’’
কমলার স্বামীকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমলা হ্যারিস আমেরিকান কংগ্রেসে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তৃতায় অংশ না নেওয়ার পর কমলাকে ইহুদি বিদ্বেষী বলেছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘কমলার স্বামী একজন ইহুদি। তা সত্ত্বেও তিনি নেতানিয়াহুর সভায় অংশগ্রহণ করেননি। কারণ, তিনি সম্পূর্ণ ভাবে ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে।’’
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হওয়ারও নজির গড়বেন তিনি।
সব ছবি: সংগৃহীত।