Global Hunger Index

ভারতে খিদের জ্বালা বেশি পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা বা নেপালের থেকেও! আরও অবনতি বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে

এ বছর ১০৭তম স্থানে রয়েছে ভারত। বিশ্ব ক্ষুধাসূচকের রিপোর্টটি ‌যৌথ ভাবে তৈরি করে আইরিশ সংগঠন ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফে’।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৪
০১ ১৫
ক্ষুধার রাজ্যে আরও পতন ভারতের। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা জিএইচআই) বলছে ২০২২-এ বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১০৭তম স্থানে। গত বছর, এই তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১০১। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে ভারত ক্ষুধাসূচকে নেমেছে অনেকটাই।

ক্ষুধার রাজ্যে আরও পতন ভারতের। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা জিএইচআই) বলছে ২০২২-এ বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে ১০৭তম স্থানে। গত বছর, এই তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১০১। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে ভারত ক্ষুধাসূচকে নেমেছে অনেকটাই।

০২ ১৫
শনিবার প্রকাশিত জিএইচআই বলছে, ভারতের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। এমনকি নেপাল, বাংলাদেশের অবস্থানও ভারতের চেয়ে অনেকটাই ভাল।

শনিবার প্রকাশিত জিএইচআই বলছে, ভারতের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। এমনকি নেপাল, বাংলাদেশের অবস্থানও ভারতের চেয়ে অনেকটাই ভাল।

০৩ ১৫
চিন, তুরস্ক, কুয়েত-সহ ১৭টি দেশ রয়েছে এই তালিকার একেবারে উপরে। তাদের সকলেরই ‘স্কোর’ পাঁচের কম। শনিবার এমনই জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য সূচকের তালিকা। এই তালিকা তৈরি হয় মূলত ক্ষুধা এবং অপুষ্টির সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

চিন, তুরস্ক, কুয়েত-সহ ১৭টি দেশ রয়েছে এই তালিকার একেবারে উপরে। তাদের সকলেরই ‘স্কোর’ পাঁচের কম। শনিবার এমনই জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য সূচকের তালিকা। এই তালিকা তৈরি হয় মূলত ক্ষুধা এবং অপুষ্টির সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।

Advertisement
০৪ ১৫
এ বছর ভারত ১০৭তম স্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী নেপাল রয়েছে ৮১ নম্বর স্থানে, পাকিস্তান ৯৯তম এবং বাংলাদেশ রয়েছে ৮৪ নম্বর স্থানে। উপমহাদেশে সবচেয়ে ভাল অবস্থা শ্রীলঙ্কার। তারা রয়েছে ৬৪ নম্বর স্থানে।

এ বছর ভারত ১০৭তম স্থানে রয়েছে। প্রতিবেশী নেপাল রয়েছে ৮১ নম্বর স্থানে, পাকিস্তান ৯৯তম এবং বাংলাদেশ রয়েছে ৮৪ নম্বর স্থানে। উপমহাদেশে সবচেয়ে ভাল অবস্থা শ্রীলঙ্কার। তারা রয়েছে ৬৪ নম্বর স্থানে।

০৫ ১৫
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের রিপোর্টটি ‌যৌথ ভাবে তৈরি করে আইরিশ সংগঠন ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফে’।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের রিপোর্টটি ‌যৌথ ভাবে তৈরি করে আইরিশ সংগঠন ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফে’।

Advertisement
০৬ ১৫
এই তালিকা তৈরির সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাঁচটি স্তর রাখা হয়। যে দেশে ক্ষুধার পরিমাণ সবচেয়ে কম সেই দেশ ‘ভাল’ স্তরে জায়গা পায়। এর পর আছে মাঝারি, উদ্বেগজনক, ভীতিপ্রদ এবং অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। জিএইচআই এ বারের রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় জানিয়েছে, ভারতে সামগ্রিক ক্ষুধার অবস্থা উদ্বেগজনক স্তরে।

এই তালিকা তৈরির সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাঁচটি স্তর রাখা হয়। যে দেশে ক্ষুধার পরিমাণ সবচেয়ে কম সেই দেশ ‘ভাল’ স্তরে জায়গা পায়। এর পর আছে মাঝারি, উদ্বেগজনক, ভীতিপ্রদ এবং অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। জিএইচআই এ বারের রিপোর্ট প্রকাশ করার সময় জানিয়েছে, ভারতে সামগ্রিক ক্ষুধার অবস্থা উদ্বেগজনক স্তরে।

০৭ ১৫
ভারতের এই ক্রমাপতন দেখে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইটে লিখেছেন, ‘২০১৪ থেকে গত ৮ বছরে মোদী সরকারের রাজত্বে আমাদের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে।

ভারতের এই ক্রমাপতন দেখে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইটে লিখেছেন, ‘২০১৪ থেকে গত ৮ বছরে মোদী সরকারের রাজত্বে আমাদের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে।

Advertisement
০৮ ১৫
২০২১-এ ১১৬টি দেশের মধ্যে ভারত ছিল ১০১ নম্বরে। এ বার তালিকায় রয়েছে ১২১টি দেশ। ভারত সেই তালিকায় ১০১ থেকে নেমে হয়েছে ১০৭।

২০২১-এ ১১৬টি দেশের মধ্যে ভারত ছিল ১০১ নম্বরে। এ বার তালিকায় রয়েছে ১২১টি দেশ। ভারত সেই তালিকায় ১০১ থেকে নেমে হয়েছে ১০৭।

০৯ ১৫
একই সঙ্গে ভারতের স্কোরও ক্রমান্বয়ে কমেছে। ২০০০-এ ভারতের স্কোর ছিল ৩৮.৮। ২০১৪ থেকে ২০২২ এবং মধ্যে তা কমে হয়েছে ২৮.২ থেকে ২৯.১ এর মধ্যে। এ বছর ভারতের স্কোর ২৯.১।

একই সঙ্গে ভারতের স্কোরও ক্রমান্বয়ে কমেছে। ২০০০-এ ভারতের স্কোর ছিল ৩৮.৮। ২০১৪ থেকে ২০২২ এবং মধ্যে তা কমে হয়েছে ২৮.২ থেকে ২৯.১ এর মধ্যে। এ বছর ভারতের স্কোর ২৯.১।

১০ ১৫
গত বছর জিএইচআইয়ের রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছিল ভারত সরকার। এই রিপোর্টকে জঘন্য এবং বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে অভিহিত করে খারিজ করেছিল মোদী সরকার।

গত বছর জিএইচআইয়ের রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছিল ভারত সরকার। এই রিপোর্টকে জঘন্য এবং বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে অভিহিত করে খারিজ করেছিল মোদী সরকার।

১১ ১৫
মোদী সরকারের দাবি ছিল, এই ধরনের সমীক্ষায় যে পদ্ধতি (মেথডোলজি) ব্যবহার করা হয় তা ভারতের মতো বিরাট বৈচিত্রপূর্ণ দেশের ক্ষুধা পরিমাপের ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক।

মোদী সরকারের দাবি ছিল, এই ধরনের সমীক্ষায় যে পদ্ধতি (মেথডোলজি) ব্যবহার করা হয় তা ভারতের মতো বিরাট বৈচিত্রপূর্ণ দেশের ক্ষুধা পরিমাপের ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক।

১২ ১৫
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা পরিমাপের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন’ বা এফএওর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যে পদ্ধতিকেই অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা পরিমাপের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন’ বা এফএওর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যে পদ্ধতিকেই অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।

১৩ ১৫
ভারত সরকারের দাবি ছিল, অপুষ্টি মাপার উপায় হল ওজন এবং উচ্চতা মাপা। কিন্তু এফএও পদ্ধতিতে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করেই কাজ সারা হয়। যা সঠিক মাত্রার হদিস দিতে পারে না। তাই কেবলমাত্র পাটিগণিতের হিসাব কষে ভারতের মতো বিপুল বৈচিত্রপূর্ণ দেশে ক্ষুধার পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

ভারত সরকারের দাবি ছিল, অপুষ্টি মাপার উপায় হল ওজন এবং উচ্চতা মাপা। কিন্তু এফএও পদ্ধতিতে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করেই কাজ সারা হয়। যা সঠিক মাত্রার হদিস দিতে পারে না। তাই কেবলমাত্র পাটিগণিতের হিসাব কষে ভারতের মতো বিপুল বৈচিত্রপূর্ণ দেশে ক্ষুধার পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

১৪ ১৫
২০১৯ থেকে ২০২১-এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারতের জনসংখ্যার ১৬.৩ শতাংশই অপুষ্টির শিকার। গত তিন বছর ধরে ভারত জিএইচআই তালিকায় ক্রমশ পিছিয়েছে ভারত। ২০২০-তে ভারত ছিল ৯৪ তম স্থানে, ২০২১-এ ১০১তম স্থানে। এ বার আরও পিছিয়ে ১০৭তম স্থানে।

২০১৯ থেকে ২০২১-এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ভারতের জনসংখ্যার ১৬.৩ শতাংশই অপুষ্টির শিকার। গত তিন বছর ধরে ভারত জিএইচআই তালিকায় ক্রমশ পিছিয়েছে ভারত। ২০২০-তে ভারত ছিল ৯৪ তম স্থানে, ২০২১-এ ১০১তম স্থানে। এ বার আরও পিছিয়ে ১০৭তম স্থানে।

১৫ ১৫
জিএইচআই এর রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিকার একে বারে শেষে রয়েছে ইয়েমেন। রিপোর্ট বলছে, ২০২১-এ গোটা পৃথিবীতে ৮২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

জিএইচআই এর রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিকার একে বারে শেষে রয়েছে ইয়েমেন। রিপোর্ট বলছে, ২০২১-এ গোটা পৃথিবীতে ৮২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি