এঁদের প্রত্যেকেই ভারতীয় দলে খেলেছেন। অনেকে খেলেছেন বিশ্বকাপও। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে ডাক পাননি তাঁরা। সেই বাতিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা তৈরি করলাম একাদশ। বিরাট-রোহিতদের একাদশকেও টক্কর দিতে পারে এই দল। কারা জায়গা পেলেন বাতিলদের একাদশে?
রুতুরাজ গায়কোয়াড়: আন্তর্জাতিক স্তরে অভিজ্ঞতা ন’টি টি২০ ম্যাচের। চেন্নাই সুপার কিংসের এই ওপেনার কিন্তু এই কয়েকটি ম্যাচেই জাত চিনিয়েছেন। ১২৪ স্ট্রাইক রেট থাকা ডানহাতি ওপেনার ইনিংসকে ভরসা দিতে পারেন।
ঈশান কিশন: ১৯টি আন্তর্জাতিক টি২০ খেলা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার খুব দ্রুত রান তুলতে পারেন। ১৩১ স্ট্রাইক রেট থাকা ঈশানের ঝুলিতে রয়েছে চারটি হাফসেঞ্চুরি।
সঞ্জু স্যামসন: দলের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার। অনেকের মতে জাতীয় পর্যায়ে যথেষ্ট সুযোগ পাননি এই ডানহাতি মারকুটে ব্যাটার। ১৩৫-এরও বেশি স্ট্রাইক রেট রয়েছে সঞ্জুর।
শ্রেয়স আয়ার: বাতিলদের একাদশের অধিনায়ক। জাতীয় দলের হয়ে ৪৬টি টি২০ খেলেছেন তিনি। গড় থেকে স্ট্রাইক রেট সবই যথেষ্ট ভাল।
বেঙ্কটেশ আয়ার: রুতুরাজের মতো ভেঙ্কটেশও জাতীয় দলের হয়ে ন’টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৬২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা বাঁহাতি ব্যাটার বল হাতেও ম্যাজিক দেখাতে পারেন। দলের প্রয়োজনে ওপেনিংও করতে পারেন ভেঙ্কটেশ।
রবীন্দ্র জাডেজা: এই মুহূর্তে দেশের সেরা বাঁহাতি অলরাউন্ডার। চোটের জন্য আপাতত দলের বাইরে। ব্যাট হোক বা বল, বা ফিল্ডিং, যে কোনও ভাবে ম্যাচের রং পাল্টাতে পারেন জাডেজা।
ওয়াশিংটন সুন্দর: দলের তৃতীয় অলরাউন্ডার। ডানহাতি স্পিনের সঙ্গে বাঁহাতি ব্যাটিংটাও ভালই করেন ওয়াশিংটন। জাতীয় দলের হয়ে ৩১টি টি২০ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
শার্দূল ঠাকুর: দলের চতুর্থ অলরাউন্ডার। ডানহাতি পেসার নীচের দিকে নেমে ক্যামিয়ো খেলতে ওস্তাদ। ২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা রয়েছে শার্দূলের।
দীপক চাহার: সাত রানে ছ’উইকেট নেওয়ার অসাধারণ রেকর্ড রয়েছে এই সুইং বোলারের দখলে। দেশের হয়ে ২১টি টি২০ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ডানহাতি পেসারের।
রবি বিষ্ণোই: ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। দেশের হয়ে ১০টি টি২০ খেলা বিষ্ণোইকে ভবিষ্যতের তারকা বলা হচ্ছে।
মহম্মদ শামি: বিশ্বকাপের দলে ডাক না পাওয়ায় অনেকেই হতাশ। এই ডানহাতি পেসার জাতীয় দলের হয়ে বহু স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছেন। ১৭টি টি২০ ম্যাচে ১৮টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।