প্রতি বছর ভারতের বহু পরীক্ষার্থী জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন। লক্ষ্য, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা আইআইটিতে ভর্তি হওয়া। পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নেওয়া হয়। র্যাঙ্কের ভিত্তিতে তাঁরা বিভিন্ন আইআইটিতে ভর্তির সুযোগ পান।
প্রতি বছর, আইআইটিতে ভর্তির জন্য জয়েন্ট পরীক্ষা দেন লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে সফল হন গুটিকয়েক।
মূলত দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পরেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স দেন দেশের অধিকাংশ পরীক্ষার্থী। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে।
তেমনই এক ব্যতিক্রম সত্যম কুমার। মাত্র ১৩ বছর বয়সে আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সত্যম।
ভারতে ‘বিস্ময়’ বালক-বালিকার সংখ্যা অনেক। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ যে শুধু সময়ের আগে পড়াশোনা শেষ করেছেন তা নয়, অনেকে অন্যান্য ক্ষেত্রেও সাফল্য পেয়েছেন। সেই অর্থে সত্যমও ভারতের ‘বিস্ময় বালক’।
২০১২ সালে আইআইটির জয়েন্ট ৬৭০ র্যাঙ্ক করেন সত্যম। আইআইটিতে ভর্তি হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসাবে নজির গড়েন তিনি।
২০১১ সালেও তিনি আইআইটি পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু সে বছর সুযোগ পাননি।
সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসাবে সত্যমের পর নজির রয়েছে দিল্লির সহল কৌশিকের। সহল আইআইটিতে ভর্তি হন ১৪ বছর বয়সে।
কিন্তু এত কম বয়সে আইআইটিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া খুব সহজ ছিল না সত্যমের জন্য। বিহারের কৃষক পরিবারের সন্তান সত্যম ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছেন অভাব-অনটনের মধ্যে।
তবে সত্যমকে আটকে রাখা যায়নি। সব বাধা অতিক্রম করে ২০১৮ সালে কানপুর আইআইটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি।
আইআইটি পাশ করার পর গবেষণার জন্য আমেরিকার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন সত্যম।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা শেষ করে মাত্র ২৪ বছর বয়সে ‘অ্যাপ্লে’ শিক্ষানবিশ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে যোগ দেন তিনি।
সত্যমের লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে ‘অ্যাপ্লে’ উচ্চপদে কর্মরত।
বিহারের ভোজপুর এলাকার বাসিন্দা সত্যম কুমার কঠোর পরিশ্রম, অদম্য সঙ্কল্প এবং অবিচল অধ্যবসায়ের উদাহরণ।