গরমে ত্বকের দাগছোপ তুলে দেবে কাঁচা আম বাটা, কী ভাবে মাখবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
গরমের দিন মানেই কাঁচা আমের ডাল, আম দিয়ে চাটনি বা আচার হরেক রকম পদ হবে। আম পোড়ার শরবত খেলে শরীর-মন ঠান্ডা হবে। কাঁচা আমে যেমন মন ভরবে, তেমনই ত্বকেরও জেল্লা বাড়বে। কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়াও কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। এই তিনটি উপাদান ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা আম বাটা সপ্তাহে দু-তিন দিন মুখে মাখলে ব্রণ, বলিরেখা কিংবা ডার্ক সার্কলের মতো অনেক সমস্যাও দূর হতে পারে।
‘জার্নাল অফ ড্রাগস ডার্মাটোলজি’-তে কাঁচা আমের উপকারিতা নিয়ে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, কাঁচা আমে থাকা ম্যালিক অ্যাসিড ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা মৃতকোষ দূর করতে পারে। আমের ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়। এতে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা কমে। আমে ম্যানজিফেরিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে। বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।
কী ভাবে মাখবেন কাঁচা আম?
আম-কাঠবাদামের ফেস-মাস্ক
১টি মাঝারি মাপের গোটা কাঁচা আম বেটে নিতে হবে। তার সঙ্গে ১ চা চামচ ওট্স, ১ চামচ কাঠবাদামের গুঁড়ো, ১ চামচ দুধ মিশিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এই মাস্ক মুখে, গলায় ও দুই হাতে লাগিয়ে মিনিট পনেরো থেকে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে। এই ফেস-মাস্ক রোদে পোড়া দাগ তুলে দেবে, পাশাপাশি ত্বক নরম ও মসৃণ করবে।
আম-বেসনের স্ক্রাব
১টি গোটা কাঁচা আম বাটার সঙ্গে ২ চা চামচ বেসন মিশিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার তাতে ১ চামচ মধু, ১ চামচ টক দই ও ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এই প্যাক ত্বকে জমা ধুলোময়লা বার করে দেবে। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থাকলে এটি সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
আম-ডিমের মাস্ক
ঠোঁট, চোখের পাশে বলিরেখা পড়ছে? তার জন্য কী করতে হবে? কাঁচা আম বেটে তার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। মিনিট দশেক এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন। তার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম করে এই প্যাক মাখলে ত্বক হবে টান টান।