প্রতীকী ছবি।
ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছেন? এতে ওজন কমবেই। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে চাইলে ব্যবহার করুন এসেনশিয়াল অয়েল। এসেনশিয়াল অয়েলের অনেক উপকারিতার কথা জানা থাকলেও এইটা জানতেন কি? এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধ শুঁকলে, গায়ে একটু এসেনশিয়াল অয়েল ঘষলে খিদে কমা ও কর্মশক্তি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ওজন কমাও ত্বরান্বিত হয়।
কোন কোন এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করবেন?
লেমন অয়েল
লেমন অয়েল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে। গবেষণা বলছে একটু লেমন অয়েলের গন্ধ শুঁকলেই মন ভাল হয় এবং এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। বাড়িতে রাখা হিউমিডিফায়ারে ২-৩ ফোঁটা লেমন অয়েল মিশিয়ে দিন।
ল্যাভন্ডার অয়েল
যে কোনও ধরনের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে ল্যাভেন্ডার অয়েল। এতে ভাল ঘুমও হয়। এই তিনটি জিনিসই কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজন। মানসিক উদ্বেগ না থাকলে উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতাও তৈরি হয় না। হাতে ৪-৫ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে শুঁকে নিন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে রগের পাশে, হাতের কবজি ও ঘাড়ে দু-এক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে ঘুমোতে পারেন।
পিপারমেন্ট অয়েল
পিপারমেন্ট অয়েল চোট লাগা পেশির ব্যথায় আরাম দেয়, সেই সঙ্গে আমাদের কর্মক্ষমতাকেও বাড়াতে সহায়তা করে। উল্টোপাল্টা খাবার কথা মাথায় এলেই যদি একটু পিপারমেন্ট অয়েল শুঁকে নেন, তাহলে সেই খিদের ইচ্ছেটাই চলে যাবে। স্নানের সময় জলে কয়েকফোঁটা পিপারমেন্ট অয়েল মেশালে উপকার পাবেন।
গ্রেপফ্রুট অয়েল
এই এসেনশিয়াল অয়েলটি শরীরের মেদ ঝরাতে সহায়তা করে এবং বিপাকীয় হার বাড়ায়। পেটে মেদ হয়ে থাকলে যদি নিয়মিত গ্রেপফ্রুট অয়েল মালিশ করেন তাহলে মেদ কমবে। গ্রেপফ্রুট অয়েল শরীরে হজমের শক্তি বাড়াতেও সহায়তা করে।