কন্ডোম ব্যবহার করলে শুধু নিজেরই নয়, বিপদে পড়তে পারেন সঙ্গীও। ছবি: সংগৃহীত।
এমনিতে সামান্য গ্যাস-অম্বলের ওষুধ কিনতে গেলেও ভুরু কুঁচকে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ দেখেন। কিন্তু চরম অস্বস্তি নিয়ে জীবনে প্রথম বার কন্ডোম কিনতে গিয়ে সে সব দেখার কথা মাথায় আসেনি। চরম মুহূর্তে বিছানার পাশের টেবিলের ড্রয়ারে রাখা কন্ডোমের প্যাকেট খুঁটিয়ে দেখার অবকাশ হয়নি। আসলে, কন্ডোমের যে নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে, তা-ই হয়তো অনেকে জানেন না। তাই কন্ডোম ব্যবহার করার পরেও নানা ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। চিকিৎসকেরা বলেন, এই ধরনের যে কোনও জিনিসেরই নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা তো আছেই। পাশাপাশি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, যৌনরোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও ক্রমশ হারিয়ে ফেলে পুরনো কন্ডোম। এই ধরনের কন্ডোম ব্যবহার করলে শুধু নিজেরই নয়, সঙ্গীকেও বিপদে ফেলতে পারেন। এই বিষয়ে পুরুষদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
কন্ডোমের মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে কি না কী দেখে বুঝবেন?
১) যদি কন্ডোমের প্যাকেট কোনও ভাবে নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকে।
২) যদি কন্ডোমের গা থেকে লুব্রিকেন্ট শুকিয়ে যায়।
৩) প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দিষ্ট মেয়াদ যদি পেরিয়ে গিয়ে থাকে।
৪) কোনও নির্দিষ্ট ফল বা ফুলের গন্ধ ছাড়া, কন্ডোমের অবাঞ্ছিত কোনও গন্ধ পেলে তা ব্যবহার না করাই ভাল।
দীর্ঘ দিন পর্যন্ত কন্ডোম ভাল রাখবেন কী ভাবে?
১) সরাসরি রোদ আসে এমন কোনও জায়গায় কন্ডোমের প্যাকেট রাখবেন না। সবচেয়ে ভাল হয় আলমারি বা ড্রয়ারের মধ্যে রাখতে পারলে। পুরুষরা অনেক সময়েই ট্রাউজার্সের পকেটে, গাড়ির গোপন কুঠুরিতে, শৌচাগারে এই ধরনের জিনিস রাখেন। তবে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি যে সব জায়গায়, সেখানে কন্ডোমের প্যাকেট না রাখাই ভাল।
২) মেয়াদ না দেখে এই ধরনের জিনিস ব্যবহার না করাই ভাল। প্যাকেটের গায়ে জিনিসটি তৈরির দিন, অর্থাৎ, ‘ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট’ দেওয়া থাকে। কেনার আগে তা ভাল করে দেখে নিন।
৩) প্যাকেট খোলার পর তা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করে ফেলা ভাল। কারণ, এই ধরনের জিনিস দীর্ঘ ক্ষণ খুলে রাখা যায় না।