Tigress Zeenat

ছাগল খেয়ে পুকুরে তেষ্টা মেটাতে এসেছিল জ়িনত! বাঘিনি-আতঙ্কে কাঁপছে গ্রাম, মরিয়া বন দফতরও

ওড়িশার সিমলিপাল থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে এ রাজ্যে ঢুকে পড়েছে জ়িনত। ঝাড়গ্রামের জঙ্গল হয়ে সে এখন পুরুলিয়ায়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্তও পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের জঙ্গল বাঘিনির আস্তানা ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৩১
পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে জ়িনত।

পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে জ়িনত। —প্রতীকী চিত্র।

টোপের ছাগল অক্ষতই থাকছে। বদলে মিলেছে জঙ্গলে চরতে যাওয়া ছাগলের অর্ধাংশ। গ্রামবাসীদের অনুমান, বাঘিনির হানাতেই তাঁদের ছাগল মরেছে। মঙ্গলে সেই ঘটনার পর বুধবার ভোরে গ্রামের পুকুরে জল খেতে এসেছিল জ়িনত। পুকুরপাড়ে তার ছাপও মিলেছে বলে খবর বন দফতর সূত্রে।

Advertisement

ওড়িশার সিমলিপাল থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে এ রাজ্যে ঢুকে পড়েছে জ়িনত। ঝাড়গ্রামের জঙ্গল হয়ে সে এখন পুরুলিয়ায়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্তও পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের জঙ্গল বাঘিনির আস্তানা ছিল। তবে বুধবার সে আস্তানা বদলেছে। রাইকা পাহাড় থেকে পাশের ভাঁড়ারি পাহাড়ের জঙ্গলে এসে হাজির হয়েছে জ়িনত। বন দফতর সূত্রে খবর, বাঘিনির গলায় থাকা রেডিয়ো কলারের ট্র্যাকার থেকেই তা জানা গিয়েছে। এতেই আতঙ্কগ্রস্ত জঙ্গল লাগোয়া রাহামদা গ্রাম। ওই গ্রামে পাঁচ শবর পরিবারের বাস। বাঘিনির আতঙ্কে পাহাড়ের দিকটায় নাইলন দড়ির জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গ্রামটি।

বন দফতর সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে গ্রামের নাপিতপুকুরের পাড়ে জ়িনতের পায়ের ছাপ মিলেছে। এর পরেই তৎপরতা বাড়িয়েছেন বনকর্মীরা। রাইকা পাহাড়ে বাঘিনিকে ধরার জন্য তিনটি খাঁচা ব্যবহার করা হচ্ছিল। এ বার ভাঁড়ারি পাহাড়ে মোট পাঁচটি খাঁচা বসিয়েছেন তাঁরা।

পাশাপাশি গ্রামবাসীকে ভীত না হতে পরামর্শ দিচ্ছে বন দফতর। আপাতত পাহাড় ও জঙ্গলের দিকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিকেলের পরে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না-বেরোতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মুখ্য বনপাল (দক্ষিণ-পশ্চিম চক্র) বিদ্যুৎ সরকার জানিয়েছেন, বাঘিনি ধরতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর তরফেও সচেতনতা দরকার। বন দফতর গ্রামবাসীর পাশে রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন