লহমা কি এ বার পুজোয় প্রেমে পড়তে চান? ছবি: সংগৃহীত।
শরৎকালের আকাশে শুধু পেজা তুলোর মেঘ ভেসে বেড়ায় না, প্রেমের ঘ্রাণও নাকে আসে। আশ্বিনের শারদপ্রাতে কাশফুলের বুনো গন্ধে তৈরি হয় নতুন প্রেমের গান। ডেটিং সাইট, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে যতই একে-অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ থাকুক, বাঙালির পুজো প্রেম চিরনতুন এবং অমলিন। সাজগোজ, খাওয়াদাওয়া ছাড়া যেমন পুজো অসম্পূর্ণ, তেমনি প্রেমহীন পুজোও হয় না। পাটভাঙা শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরা দু’জোড়া চোখের একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকা, সকলের অগোচরে হাতে হাত রাখা, কিছু বলতে চেয়েও বলতে না পারার অস্থিরতা, ইতস্তত চাহনি— এ সব নিয়েই তো পুজো। অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে গিয়ে পুজোর ভিড়ে কাউকে পছন্দ হয়ে যাওয়া, গোটা পুজোটা তাকে এক ঝলক দেখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা পুজো প্রেমের এমন অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলের জীবনেই আছে। তবে ডেটিং অ্যাপের যুগে নতুন প্রজন্ম কি পুজোয় প্রেমে পড়ে?
টলিপাড়ার তরুণ-তরুণীদের অন্যতম লহমা ভট্টাচার্য। সুন্দরী, তন্বী, কমবয়সি নায়িকার জীবনে এখনও সেই অর্থে প্রেম আসেনি। আপাতত কাজ নিয়েই ব্যস্ত তিনি। টলিউডে সবে খাতা খুলেছেন নায়িকা। ‘রাবণ’ এবং ‘বিয়ে বিভ্রাট’— দু’টি ছবিতেই লহমার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। দর্শকের ভালবাসা পেতে আপাতত কাজের সঙ্গে প্রেম করতে চান তিনি। কিন্তু তাই বলে কোনও পুজোয় প্রেম হয়নি, তা তো হতে পারে না। লহমার কথায়, ‘‘ছোটবেলা থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতিটা পুজো বন্ধুদের সঙ্গেই কাটে। প্রেসিডেন্সিতে পড়ার সময়ে বন্ধুরা মিলে দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে যেতাম। ক্যাফেতে বসে জমিয়ে আড্ডা দিতাম। এত হইচইয়ের মাঝে আমার আলাদা করে বিশেষ কাউকে প্রয়োজন হয়নি।’’ অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে গিয়ে হালকা চোখাচোখি, ভাল লাগা, এক পলকে কাউকে একটু দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলা— কিছুই কি হয়নি লহমার? নায়িকা সহাস্যে বলেন, ‘‘সে তো হয়ই। কিন্তু সেটা ঠিক প্রেম কিংবা ভাল লাগা নয়। আমরা আগে সল্টলেকে থাকতাম। সেখানে বাবা, মা, কাকা-কাকিমার সঙ্গে অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে যেতাম। সত্যি বলছি, আলাদা করে মনে রাখার মতো কোনও প্রেমের অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। তবে বন্ধুদের গ্যাংয়ে সিনিয়রেরাও থাকত অনেক সময়ে। তখন কারও সঙ্গে একটু বেশি কথা কিংবা গল্পগুজব হয়েছে। কিন্তু সেটা বিশেষ কিছু নয়।’’
শহর জুড়ে আলোর রোশনাই। চারদিকে সাজ সাজ রব। এমন উৎসবমুখর সময়ে প্রেম নিয়ে কী ভাবছেন লহমা? অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘প্রেম, ভালবাসা তো ঠিক পরিকল্পনা করে হয় না। হঠাৎই হয়। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সঙ্গে পুজোয় ঘোরা ছাড়াও পুজো পরিক্রমাতেও গিয়েছে। কখনও এমন কিছু হয়নি। কিন্তু আমি সত্যিই চাই অন্য সময় না হলেও, পুজোয় একটা প্রেম হোক। আমি আশাবাদী, এ বার নিশ্চয়ই পুজো প্রেমের অভিজ্ঞতা আমার হবে।’’ পুজোর সময়ে একটা প্রেম হলে যে মন্দ হয় না, মনে মনে সে কথা বলছেন লহমা।