Aamir Khan

অবসাদগ্রস্ত ইরা, এ বার মেয়ের সঙ্গে আমিরও যাচ্ছেন মনোবিদের কাছে! নেপথ্য কারণ কী?

ইরা নিজের সঙ্গে আজকাল বাবা আমিরকেও নিয়ে যাচ্ছেন মনোবিদের কাছে। কোন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন অভিনেতা?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৩
মেয়ে ইরা যে কারণে বাবা আমিরকে নিয়ে যাচ্ছেন মনোবিদে্র কাছে।

মেয়ে ইরা যে কারণে বাবা আমিরকে নিয়ে যাচ্ছেন মনোবিদে্র কাছে। ছবি: সংগৃহীত।

গত পাঁচ বছর ধরে অবসাদের সঙ্গে লড়াই করছেন আমির খানের কন্যা ইরা খান। এই নিয়ে খোলামেলা ভাবেই কথা বলেন আমির-কন্যা। জানিয়েছিলেন, প্রতি আট থেকে দশ মাস অন্তর ভয়ঙ্কর ভাবে সমস্যা বাড়ে। তবে ইরা জানান, তাঁর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার অন্যতম নেপথ্য কারণ বাবা আমির ও মা রীনা দত্তের বিবাহবিচ্ছেদ। মানসিক অবসাদের ধারা তাঁদের পরিবারে রয়েছে বলেই ধারণা ইরার। যদিও বিয়ের পর আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন তিনি। তবে ইরা নিজের সঙ্গে বাবা আমিরকেও সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন মনোবিদের কাছে। তাতে নাকি উপকৃত হয়েছেন দু’জনেই।

Advertisement

সম্প্রতি ইরা বাবা আমির ও মা রীনার সাহায্যে অগস্ত্য ফাউন্ডেশনের স্থাপন করেন। তাঁর এই সংগঠনের লক্ষ্যই হল, যাঁরা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের সাহায্য করা। তাই বলে নিজের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছেন তা নয়। বাবা-মেয়ে একসঙ্গে মনোবিদের কাছে যাওয়ায় তাঁদের দু’জনের সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে বলেই মত আমিরের। পেশাগত ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে একের পর ব্যর্থতা দেখেছেন আমির। ভেবেছিলেন, অভিনয় থেকে অবসর নেবেন। যদিও ছেলেমেয়ের জোরাজুরিতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। তবে এই সময়টা যে খুব সহজ ভাবে অতিবাহিত হচ্ছে আমিরের, তা নয়। অভিনেতা নিজে স্বীকার করেছেন বুদ্ধিমান মানুষ হওয়া সত্ত্বেও এমন অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারছেন না। সেই কারণেই মনোবিদের সাহায্যের প্রয়োজন তাঁর। আমিরের কথায়, ‘‘আসলে থেরাপি অত্যন্ত শক্তিশালী জিনিস। আমি এত দিন ভাবতাম আমি যথেষ্ট বুদ্ধিমান মানুষ, আমি সব সিদ্ধান্ত একাই নিতে পারি। কিন্তু, না আমারও প্রয়োজন পড়ে। হতে পারে আমি ভীষণ বুদ্ধিমান। কিন্তু নিজের মনকে আমরা খুব অল্পই চিনি। হ্যাঁ ভারতে এখন এটা নিয়ে সংরক্ষণ রয়েছে আসলে। মানসিক সমস্যা মানে পাগল ভেবে নেন। আমি বলতে চাই আমারও মানসিক সমস্যা রয়েছে। আমি চাই সেটা অন্যরা জানুন। এমন সমস্যা থাকলে আপনারাও সাহায্য নিন। তাতে উপকৃত আপনারাই হবেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement