বাদ থাক চিনি, মুখ মিষ্টি হোক ফলে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ওজন কমানোর ইচ্ছে আছে। কিন্তু বাড়ি আর অফিস সামলে জিম যাওয়া বা হাঁটার সুযোগ হচ্ছে না। স্রেফ চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারলেই কিছু দিনের মধ্যে ওজন কমবে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ঝরঝরে লাগবে।
চিনি খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করার ১ মাসের মধ্যেই অনেকটা ওজন ঝরে যাবে। এমনই বলছেন পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায়চৌধুরি। শুধু মাত্র চিনি খাওয়া বন্ধ করে সুষম খাবারের অভ্যাস তৈরি করতে পারলে, ৬ মাসের মধ্যে ১৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলা যায়। তবে সকলেরই যে একই নিয়মে ওজন কমবে, তা নয়। সুবর্ণা জানালেন, ১ চামচ চিনির সঙ্গে ১৯ ক্যালোরি শরীরে যায়। পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে চিনিকে বলে হয়, এম্পটি ক্যালোরি। অর্থাৎ স্রেফ ক্যালোরি ছাড়া বিন্দুমাত্র পুষ্টিগুণও এতে নেই।
চিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা সহজ। কাজটা মোটেও সহজ নয়। কারণ চা, পান, সিগারেট বা মদের মতো চিনিরও প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। একটা চাহিদা তৈরি হয়। অর্থাৎ দীর্ঘ ক্ষণ না খেলে আরও বেশি করে খেতে ইচ্ছে করে চিনি। এমনটাই বলছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মানস চক্রবর্তী।
তবে শুধু চা বা কফিতে চিনি মিশিয়া খাওয়া নয়, তরকারি, মিষ্টি, শরবৎ, বোতলজাত ফলের রস, মিল্ক শেক— সবেতেই লুকিয়ে আছে প্রচুর চিনি। মিল্ক শেক বা এক স্কুপ আইসক্রিমে অন্তত -৬ চামচ চিনি আছে। ঠান্ডা পানীয়ের ক্যানে থাকে ৯ চা চামচ চিনি। আইসক্রিম, সন্দেশ, রসগোল্লা, চকোলেট, প্যাকেট করা ফলের রস— সবেতেই প্রচুর চিনি থাকে, বলছেন মানস।
শুধউ ওজন বাড়িয়ে দেওয়া নয়, চিনি যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বহু দীর্ঘস্থায়ী অসুখ ডেকে আনে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, চিনি বা কর্নসিরাপ (ভুট্টা থেকে তৈরি চিনি) দিয়ে তৈরি মিষ্টিজাতীয় খাবার ডায়াবিটিস এবং ক্যানসারের মতো অসুখ ডেকে আনে। এ ছাড়া চিনির প্রভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে।
কী ভাবে ছাড়তে পারেন চিনি খাওয়া?
এসব নিয়ম মেনে চললে এক সপ্তাহের মধ্যেই ওজন কমতে শুরু করবে। চিনি খাওয়ালে কমালে ধাপে ধাপে কতটা মেদ কমাতে পারবেন, রইল তার হিসেব।