break up

Recovering from breakup: সমাজসেবা না কি এভারেস্ট থেকে ঝাঁপ, প্রেম ভুলতে কী করছেন সকলে

মন ভেঙে গিয়েছে। তার মানেই তো আর জীবন থেমে থাকবে না। নতুন অভিজ্ঞতা সৃষ্টির সময় হল এটিই।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বেশ কেয়ক বছরের সম্পর্ক শেষ। মন ভেঙে গিয়েছে। আগের জীবনের আর অনেক কিছুই নেই। কিন্তু তার মানেই তো আর জীবন থেমে থাকবে না। বরং এই সময়টিই কাজে লাগানো যায় নতুন কিছু করার জন্য। নতুন অভিজ্ঞতা সৃষ্টির সময় হল এটিই।

সিনেমায় এমন হয়েই থাকে। কিন্তু বাস্তবেও এমন হয়। জেনে নিন এমন কিছু মানুষের কাহিনি, যাঁরা প্রেম ভাঙার পরেই বেছে নিয়েছেন কিছু ছক ভাঙা পথ।

Advertisement

১) সম্পর্ক ভাঙার পরে দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়েন অনেকে। এ সময়ে নতুন করে নিজের গন্তব্য খোঁজেন। তেমনই করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সারা ডার্লিসন। আগে যে বিশেষ পাহাড়ে চড়ার অভ্যাস ছিল, তেমন নয়। কিন্তু নিজের জীবনে নতুন পথ খুঁজতে খুঁজতেই এভারেস্টের দিকে হাঁটতে শুরু করেন তিনি। এভারেস্টে ওঠা সহজ নয়। নিজের মনে কষ্টের চেয়েও এ সময়ে বেড়ে গিয়ে ছিল শারীরিক শ্রম। সারা বলেন, ‘‘এভারেস্টের পথে হাঁটতে হাঁটতে আরও কষ্ট সহ্য করতে শিখেছি আমি।’’ নেপাল থেকে নিজের দেশে ফিরে নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে সুবিধা হয় তাঁর। তিনিই জানান, এমন ভাবনা আরও অনেকের মধ্যেই দেখেছেন। পাহাড়ে না গেলেও অন্য কোনও অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়েছেন হয়তো বা তাঁরা। কেউ যান স্কাইডাইভিংয়ে, কেউ স্কি করতে। সমুদ্রের তলায় ডুব দিয়ে যে সব খেলা হয়, সে সব করেও শান্তি খুঁজে পেয়েছেন কেউ কেউ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

২) কুস্তি করতেন এমা থমাস। কিন্তু একটি প্রতিযোগিতায় জিততে পারেননি তিনি। এর পরেই তাইল্যান্ডের এই কুস্তিগিরের সঙ্গী তাঁকে কাজ ছেড়ে দিতে বলেন। তাঁর দ্বারা এ সব হবে না। তখনই এমা বুঝতে পারেন, সঙ্গীও তাঁর যোগ্য নন। এমাকে শক্তি জোগানোর ইচ্ছাই নেই তাঁর। সম্পর্ক ভাঙে। মন ভেঙে যাওয়ার পরে নতুন একটি খেলায় নাম লেখান এমা। পাওয়ার লিফটিং শুরু করেন। একটিই উদ্দেশ্য। নিজেকে আরও ক্ষমতাশালী মনে হওয়া দরকার তখন তাঁর। সম্পর্ক ভাঙার পরে আত্মবিশ্বাস যে নেমে গিয়েছে তলানিতে। কুস্তিগির হলেও নিজেকে বিশেষ ক্ষমতাশালী ভাবতেন না এমা। এ বার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার সময়। এখন তিনি ‘ব্যাঙ্কক রাইজিং’-এর জন্য কাজ করেন। পিছিয়ে পড়া মহিলাদের কাজ প্রকাশ্যে আনেন তার মাধ্যমে। পারিবারিক হিংসার শিকার হলে সেই মেয়েদের পাশে দাঁড়ান এমা। সঙ্গে পাওয়ার লিফটিং তো করেনই।

৩) জেমা ক্যানিজারো লোয়ার মেলবর্নের বাসিন্দা। সেখানে আইনজীবী হিসাবে কাজ করতেন তিনি। হঠাৎ প্রেম ভাঙে। সঙ্গী আর সম্পর্ক রাখতে চান না বলে জানিয়ে দেন। এর পর মাস চারেক প্রায় কিছু করতেই পারেননি জেমা। নাওয়া-খাওয়াও বন্ধ করেছেন। এমন ভাবে মাস দুয়েক চলার পর ঠিক করেন ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ল’ফার্মের চাকরি ছেড়ে দেন। ঠিক করেন কম্বোডিয়ায় চলে গিয়ে সমাজসেবা করবেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরির কথাও ভাবেন। কম্বোডিয়া যাওয়ার কয়েক দিন আগে তাঁর প্রাক্তন সঙ্গী জানান ভুল হয়ে গিয়েছে। জেমাকে ছাড়া থাকতে পারবেন না তিনি। এমনকি, অন্য দেশ থেকেও সম্পর্ক রাখতে অসুবিধা নেই তাঁর। এর পরেই কম্বোডিয়ায় গিয়ে একটি বৃদ্ধাবাসে তিনি সমাজসেবা শুরু করেন। অতিমারির সময়ে তিনি ফিরে যান নিজের দেশে। মেলবর্নে ফিরেও সেবামূলক কাজ করতে থাকেন। নিজে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও তৈরি করেন। এ ভাবে সম্পর্ক ভাঙার সময়েই জীবনে একটি নতুন পথ খুঁজে পেয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement