প্রতীকী ছবি।
গ্রিসের ৮৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সপ্তাহে অন্তত এক বার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় এই অঙ্কটি অনেক বেশি।
এক কন্ডোম প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে চালানো হয় সমীক্ষা। ২৬টি দেশের প্রায় ৩০,০০০ মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়। তার ভিত্তিতেই এমন তথ্য মিলেছে। এরই সঙ্গে আরও নানা দেশের মানুষের যৌন অভ্যাসের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে সেই সমীক্ষায়।
ইংল্যান্ডের এক সংবাদ সংস্থা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, এক-এক দেশের মানুষের যৌন মিলন সংক্রান্ত অভ্যাস এক-এক ধরনের। সমীক্ষায় তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। যেমন সেখানেই ধরা পড়েছে, ব্রাজিলের প্রায় ৪৪ শতাংশ মহিলা অর্গাজম না হওয়ার কথা লুকোন। আবার ইটালির ৮০ শতাংশ মানুষ পছন্দ করেন ওরাল সেক্স।
আর এ দেশে কী হয়?
ভারতের ৯৫ শতাংশ মানুষ নাকি কন্ডোম পছন্দ করেন না। অধিকাংশের বক্তব্য, কন্ডোম ব্যবহার করলে একে অপরের যথেষ্ট কাছে আসা যায় না। তার পরেই আসে চিনের প্রসঙ্গ। সেখানে নাকি ৭৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা পৌঁছতেই পারেন না চরম মুহূর্তে। যৌন মিলনে তাই অপ্রাপ্তি থেকে যায়। নরওয়ে হল ঠিক উল্টো। অর্গাজমে সবচেয়ে এগিয়ে। সেখানে চালানো একটি সমীক্ষা বলছে, ৩৫ শতাংশ নাগরিকের প্রতি দিন অর্গাজম হয়।
রাশিয়ায় আবার সরকার একটি দিন রেখেছে দম্পতিদের জন্য। ১২ সেপ্টম্বর হল ‘কনসেপশন ডে’। সে দিন কাজে বেরোনোর প্রয়োজন নেই। বা়ড়িতে থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য মিলনে লিপ্ত হতে উৎসাহ দেওয়া হয়। ৯ মাস পর যে সকল দম্পতি সন্তানের জন্য দেবেন, তাঁদের পুরস্কারও দেবে সরকার।
ইংল্যান্ড-আমেরিকার মানুষজন কেমন? মনে মনে সে কথা ভাবছেন কি?
সেক্স টয় প্রস্তুতকারক একটি সংস্থার সমীক্ষা বলছে, আমেরিকায় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ৯ জনের মধ্যে ১ জনের একই সময়ে একাধিক সম্পর্ক থাকে। একসঙ্গে দু’জনের সঙ্গে মিলিত হতেও উৎসাহী সে দেশের বহু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। ইংল্যান্ডে অবশ্য এত ধরনের চাহিদার কথা শোনা যায়নি। তবে সেখানকার নাগরিকরা মিলনের আগের প্রেম বিনিময়ে বেশ গুরুত্ব দেন বলেই জানাচ্ছে একটি সমীক্ষা।