Deadly Bacteria

নরম পানীয়ের ফেনায় থাকে চরম ক্ষতি করার মতো ব্যাক্টেরিয়া, ধরা পড়ল গবেষণায়

রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া মুখরোচক, চটজলদি তৈরি করা যায় এমন খাবারের চেয়ে কয়েক গুণে বেশি ব্যাক্টেরিয়া থাকে এই সোডা-জলে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৩৪
Image of Soda water

খাবারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ব্যাক্টেরিয়া থাকে সোডা-জলে। ছবি: সংগৃহীত।

একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেলে শরীর আইঢাই করতে থাকে। সেই সময়ে পেটের অস্বস্তি থেকে রেহাই পেতে সোডা দেওয়া নরম পানীয় খান অনেকেই। কার্বনেটেড জলে থাকা দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড, তাড়াতাড়ি খাবার হজম করিয়ে দিতে পারে। তবে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া মুখরোচক, চটজলদি তৈরি করা যায় এমন খাবারের চেয়ে কয়েক গুণে বেশি ব্যাক্টেরিয়া থাকে এই সোডা-জলে।

Advertisement

লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যত ধরনের ব্যাক্টেরিয়া রয়েছে, তার মধ্যে ৪১ শতাংশের অস্তিত্ব মিলেছে সোডা ফাউন্টেনের জলে। শুধু তা-ই নয়, সোডা-জল রাখার যে যন্ত্র, তার মুখেও ব্যাক্টেরিয়া আনাগোনা করে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সমীক্ষা বলছে, রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত জলের কলেও ২০ শতাংশ ব্যাক্টেরিয়া থাকে। লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং সমীক্ষার প্রধান টমাস হিল বলছেন, “পেটের সমস্যার ক্ষেত্রে খাবারের মান নিয়ে আমারা যতটা চিন্তা করি, এই ধরনের সাধারণ বিষয়গুলি নিয়ে খুব একটা ভাবি না। মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট জন রোজ়ের মতে, “রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত জলের মধ্যে প্যাথোজেনের উপস্থিতি সত্যিই ভয়ের। আমাদের এই বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”

তবে গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের এই সমীক্ষা শুধু সোডা-জল ফাউন্টেনগুলির জন্য নয়, শহরের সব ক’টি ফাস্ট ফুড রেস্তরাঁর জন্য। কিছু আগে তেমনই একটি দোকানের সস্‌ ডিসপেনসারের মুখে ম্যাগট দেখতে পান এক ক্রেতা। গত বছর ঠান্ডা নরম পানীয়ের বোতলের একেবারে নীচে ম্যাগটের অস্তিত্ব টের পান অন্তঃস্বত্ত্বা এক মহিলা। মাসখানেক আগে মিল্কশেক খেয়ে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ছ’জনকে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে নিয়মিত মেশিনগুলি পরিষ্কার করা এবং জলের গুণগত মান পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

Advertisement
আরও পড়ুন