দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে পেডিকিয়োর করা ঝুঁকির। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে মোজা পরে থাকেন বলে বোঝা যায় না। কিন্তু গরমে বা বর্ষায় পায়ের বেহাল দশা লুকোনোর তো কোনও উপায় নেই। ট্রাম-বাসে ধুলো-বালি মাখা পা নিয়ে অফিসে যেতে পারেন। কিন্তু পুজোর সময়ে তো একটু যত্নআত্তি করতেই হবে। তাই ঠিক করেছেন সালোঁয় গিয়ে পেডিকিয়োর করাবেন। ডায়াবিটিস দীর্ঘ দিনের সঙ্গী, তাই পায়ে কিছু করতে ভয় পান। চিকিৎসকেরা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হতে পারে। পায়ের স্নায়ুর ক্ষতি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি বলা হয়। তাই পেডিকিয়োর করানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ডায়াবিটিস রোগীরা পেডিকিয়োর করাবেন না কেন?
১) রক্ত চলাচল ব্যাহত করে
দীর্ঘ দিন ধরে টাইপ-২ ডায়াবিটিস থাকলে, আক্রান্তদের শরীরে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে পায়ের স্নায়ু অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। এই সময়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। পেডিকিয়োর করতে গিয়ে পায়ে চোট লাগলে বা ভুল পদ্ধতিতে মাসাজ করলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
২) অনুভূতি কমে যায়
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্তরা পেডিকিয়োর করলে পায়ের অনুভূতি কমে যেতে পারে। পায়ে চোট বা আঘাত লাগলে, তা বোঝার ক্ষমতা থাকে না।
৩) নখের ভিতর দিয়ে নখ
পেশাদার সালোঁ কর্মীকে দিয়ে পেডিকিয়োর না করালে ডায়াবিটিস আক্রান্তদের পায়ের নখের ক্ষতি হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নখের ভিতর দিয়ে নখ গজাতে। অনেকের নখের আকার বিকৃত হয়ে যায়। তাই পেডিকিয়োর করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।