মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনমোহন সিংহ। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে। —ফাইল চিত্র।
অটল বিহারী বাজপেয়ী জমানার পরে আবার মনমোহন সিংহের আমলে দেশের রেলমন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারে কাজ করার সেই দিনগুলোর কথাই মনে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কাছ থেকে দেখার সুবাদে মনমোহনের পাণ্ডিত্য ও বিচক্ষণতার গুণই সব চেয়ে বেশি মনে পড়ছে তাঁর। ঘটনাচক্রে, ২৫ ডিসেম্বর ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর জন্মদিন। আর পরের তারিখ, ২৬শে নথিভুক্ত হয়ে গেল আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের প্রয়াণ দিবস হিসেবে!
দিল্লির এমসে বৃহস্পতিবার রাতে প্রয়াত হয়েছেন মনমোহন। তাঁর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পরে শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে দুঃখিত। তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাঁর পাণ্ডিত্য ও বিচক্ষণতা ছিল প্রশ্নাতীত।’’ তৃণমূল নেত্রীর সংযোজন, ‘‘দেশে তিনি যে আর্থিক সংস্কারের সূচনা করেছিলেন, তার গভীরতাও ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত।”
দেশকে পথ দেখাতে পারতেন মনমোহন, তাঁর বিদায়ে দেশ সেই সুযোগ হারাল বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত স্তরেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ‘মিস’ করবেন তিনি। মমতার কথায়, ‘‘কাজ করতে গিয়ে তাঁর স্নেহ পেয়েছি। সেই স্নেহ, সম্পর্কের কথা মনে থাকবে। ‘মিস’ করব।’’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অনুগামীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মনমোহনকে ‘রাষ্ট্রনায়ক’ বলে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকবার্তায় অভিষেকের বক্তব্য, “ভারত তার অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ককে হারাল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সময়কালকে ছাপিয়ে তাঁর পরম্পরা থেকে যাবে। তিনি অর্থনৈতিক সংস্কারের এক জন স্থপতি, যা আমাদের জাতির ভবিষ্যৎকে নতুন রূপ দিয়েছে।’’