মুকেশ অম্বানী ছবি: সংগৃহীত।
রাজকীয় আয়োজনে কনিষ্ঠ পুত্রের বিয়ে দিলেন মুকেশ এবং নীতা অম্বানী। ঘরে বৌমা এনেছেন তাঁরা। বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও, বিলাসিতা আর প্রাচুর্যে মোড়া আয়োজনের কথা এখনও চর্চায়। বিভিন্ন সূত্রের খবর, মুকেশ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন অনন্তের বিয়েতে। তবে টাকার অঙ্ক শুনে চোখ ছানাবড়া হওয়ার কোনও মানে নেই। বিয়েতে খরচ হওয়া টাকা নাকি অম্বানীদের বার্ষিক আয়ের মাত্র ০.৫ শতাংশ। তা ছাড়া বাড়ির ছোট ছেলের বিয়ে বলে কথা, আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চাননি নীতা-মুকেশ। হাত খুলে খরচ করে গিয়েছেন। বাড়ির অনুষ্ঠান হোক কিংবা সংস্থার কর্মীদের বেতন— কোনও কিছুতেই কার্পণ্য করেন না অম্বানীরা।
‘অ্যান্টিলিয়া’ রাজপ্রাসাদের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। বিউটি পার্লার থেকে সুইমিং পুল, জিম, রেস্তরাঁ— সবই রয়েছে এক ছাদের নীচে। বাড়িতে রয়েছেন ৬০০ কর্মচারীও। অ্যান্টিলিয়ার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যাঁদের হাতে। এ ছাড়াও বাড়ির সদস্যদের ব্যক্তিগত গাড়ির চালকেরাও এখানেই থাকেন। কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিয়েও সমান চিন্তিত নীতা এবং মুকেশ। গোটা ২৭ তলা বাড়ির একটি তল তাঁরা ছেড়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র বাড়ির কর্মচারীদের জন্য। মুকেশ চান, তাঁর কর্মীরাও যেন বিলাসিতায় জীবন কাটাতে পারেন। সে জন্য তিনি নাকি গাড়ির চালকদের হাত খুলে বেতন দেন। শোনা যায়, মুকেশ তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ির চালকদের প্রতি মাসে মাইনে দেন ২ লক্ষ টাকা করে। হিসাব করলে দাঁড়ায় বছরে ২৪ লক্ষ টাকা। তবে এটা কয়েক বছর আগের রিপোর্ট। সম্প্রতি এই বেতনের পরিমাণ বেড়েছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেরই মত, অম্বানীদের গাড়ির চালকদের চেয়ে বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীরা অনেক কম বেতন পান।