পোষ্যের জম্য বিমা করানো কি জরুরি? ছবি:ফ্রিপিক।
উপার্জন যেমনই হোক না কেন, অনেকেই এখন বুঝেছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত বিমা কতটা জরুরি। অসুখ-বিসুখ হলে, দুর্ঘটনা ঘটলে চিকিৎসায় এক ধাক্কায় লাখ লাখ টাকা বেরিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। সেই খরচ সামাল দিতে কাজে আসে স্বাস্থ্য বিমা। একই কথা প্রযোজ্য পোষ্যের জন্যও।
ভারতে এখন পোষ্য সারমেয়র সংখ্যা দিনে দিনে বাড়লেও, অনেকেই তাদের বিভিন্ন রোগব্যাধি এবং সেই সংক্রান্ত খরচ সম্পর্কে উদাসীন। অথচ পোষ্যের বড় কোনও অস্ত্রোপচার, দুর্ঘটনা, অসুখ এবং এমনকি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেও সহায়ক হতে পারে বিমা। আচমকা বিপদ ঘটলে মানুষের ক্ষেত্রেও যেমন মোটা টাকার জোগান দেওয়া সমস্যার হতে পারে, তেমনটাই হতে পারে পোষ্যের ক্ষেত্রেও। সে ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে বিমা। সারমেয়র জন্য বিমা করানোর আগে জেনে নিন তার খুঁটিনাটি।
বিমার সুযোগ সুবিধা
১. বিপদ বলে কয়ে আসে না। যতই পোষ্যকে সাবধানে রাখা হোক, কখনও পড়ে গিয়ে বা যানবাহনের ধাক্কায় সে আহত হতেই পারে। দুর্ঘটনার পর অস্ত্রোপচারের দরকার হলে, সেটা একটা বড় আর্থিক ধাক্কা। এই সময় কাজে আসতে পারে পোষ্যের বিমা।
২. ডায়াবিটিস থেকে শুরু করে পোষ্যেরও টিউমার, ক্যানসার-সহ নানাবিধ জটিল অসুখ হতে পারে। কোনও কোনও বিশেষ প্রজাতির সারমেয়র ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের রোগের প্রবণতা থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে কাজে আসতে পারে বিমা।
৩. পোষ্যেরও এমন অসুখ হতে পারে, যা এক বার হলে বাকি জীবন চিকিৎসা করতে হয়। আর্থ্রাইটাইটিস, ডায়াবিটিস-সহ এমন বেশ কিছু অসুখের জন্য নিয়মিত ডাক্তার দেখানো, ওষুধ, ইঞ্জেকশন জরুরি হয়ে পড়়ে। কোনও কোনও বিমায় এই ধরনের চিকিৎসা পরিষেবার খরচও বহন করা হয়।
৪. বয়স বাড়তে থাকলে পোষ্যও বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে আক্রান্ত হয়। তবে অনেক অসুখ শুরুতে চিহ্নিত হলে, তা সেরে ওঠার সম্ভবনা বেশি থাকে। এ জন্যই বছরে এক থেকে দু’বার নিয়ম করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। কোনও কোনও বিমায় এই পরিষেবাটিও যুক্ত থাকে।
তা ছাড়া বিমা করানো থাকলে পোষ্যের চিকিৎসার জন্য ভাল মানের প্রতিষ্ঠানের খরচ নিয়েও ভাবতে হয় না।
কোন কোন ক্ষেত্রে বিমা পেতে অসুবিধা?
পোষ্য সারমেয় সংক্রান্ত একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জেএস রামকৃষ্ণ বলছেন, ‘‘বয়স্ক সারমেয় বা যে সমস্ত প্রজাতির কুকুরের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি রয়েছে এবং চিকিৎসার খরচও ব্যয়বহুল, তাদের সাধারণত বিমার আওতায় সব সময় অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। কিংবা আগে থেকেই জটিল অসুখ হয়ে থাকলে, সেই পোষ্যকে বিমার আওতায় আনা যায় না।’’
পোষ্যের প্রজাতি, বয়স, স্বাস্থ্য অনুযায়ী বিমার প্রিমিয়ামের অঙ্ক নির্ভর করে। যে সমস্ত প্রজাতির সারমেয়র জটিল অসুখের ঝুঁকি বেশি, তাদের ক্ষেত্রে বিমার খরচও বেশি হয়।