পোষ্যকে কী ভাবে সঙ্গে দেবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
পোষ্য শুধু পোষ্য নয়, বহু পরিবারেই হয়ে ওঠে বাড়ির সদস্য। সারমেয় শাবককে ছোট থেকে কোলেপিঠে করে বড় করতে করতে কখন যে তার সঙ্গে মনের যোগ তৈরি হয়ে যায়, টের পাওয়া যায় না। তবে শুধু মানুষ নয়, টান তৈরি হয় দু’তরফেই। সে কারণেই দিনের শেষে কখন বাড়ির মানুষগুলি ঘরে ফিরবে অধীর অপেক্ষায় থাকে সারমেয়। মনিব অফিস থেকে বা কাজ থেকে ফিরলে আদরের ঠ্যালায় অস্থির হয়ে যায় সে-ও। আবার সারাদিন বাড়িতে না থাকা মানুষটিও পোষ্যের সঙ্গ পেতে উদগ্রীব হয়।
তবে শুধু সঙ্গ দেওয়াই নয়, সারমেয়র মন বোঝা, তাকে খুশিতে রাখাও জরুরি। কী ভাবে ভাল রাখবেন তাকে, দৃঢ় হবে সম্পর্কের বাঁধন?
১. সময় এবং সঙ্গ দেওয়ার পরিসর বাড়লেই মজবুত হতে পারে সম্পর্কের বাঁধন। নিয়ম করে সারমেয়কে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বেরোতে পারেন। খোলা হাওয়ায় পোষ্যকে নিয়ে ঘুরলে, তার সঙ্গে খেলা করলে সারমেয়র মন ভাল থাকবে। নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে শুধু মানসিক ক্লান্তি কাটবে পোষ্য-মনিব দু’জনেরই।
২. পোষ্যকে ভাল রাখতে গেলে তার মনের কথা বোঝা দরকার। তাদের ডাকের নানা অর্থ হয়। সারমেয়র শরীরী ভাষা পড়তে পারলে ডাকের মানে বোঝাও সহজ হবে। সঠিক প্রশিক্ষণে দুই তরফের ভাব প্রকাশ সহজ হতে পারে। তাই পোষ্যের আচরণ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও খুব জরুরি।
৩. পোষ্যের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার একটা মাধ্যম হতেই পারে খেলাধূলা করা, তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া। মনুষ্য সন্তানেরা যেমন বড়দের মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা করে সারমেয় শাবকরাও তাই। তাদের সঙ্গে ঘরে, বাইরে খেলাধুলো করলে খুশি থাকবে তারা। বাইরে গিয়ে ছোটছুটি করে খেললে পোষ্যের মাংসপেশি সবল থাকবে, ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। তবে বাইরে যেতে না পারলেও ঘরে তার খেলার দিকে নজর দিতে পারেন। বল, ছোটখাটো জিনিস নিয়ে তারা খেলেই। তবে কাগজের বাক্স দিয়ে দিলেও তারা মজা পাবে। তার ভিতর দিয়ে গলে বেরোনো, লাফানো এই সব খেলায় মজা পাবে সারমেয়।
৪. এক জন মানুষ যেমন অন্যের কাঁধে মাথা রেখে ভরসা খোঁজে, তেমন পোষ্যও। জড়িয়ে ধরা, আদর করা পছন্দ করে সারমেয়রা। স্পর্শেই অনেক না বলা কথা বুঝে নেওয়া যায়, ভরসা পাওয়া যায়। সারমেয় যেমন চেটে, লেজ নাড়িয়ে আনন্দ, আদরের কথা বলে তেমন সে নিজেও আদর, আহ্লাদ চায়। এ ভাবেও তার সঙ্গে বাড়তে পারে সখ্য।