স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি পোষ্যের রোজের পরিচ্ছন্নতার উপরেও জোর দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
নিজেকে সুস্থ রাখতে অনেকেই শীতকালে নানা ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। কিন্তু এ সময়ে শুধু নিজের নয়, বাড়ির পোষ্যটিরও বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। পোষ্যরা কথা বলতে পারে না। শারীরিক কোনও সমস্যা হলে, তা মুখ ফুটে বোঝাতে তারা অক্ষম। তাদের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব আপনারই। বিশেষ করে শীতে পোষ্যরা আরও বেশি করে কাবু হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এই মরসুমে সর্দি-কাশির সমস্যা পোষ্যেরও হতে পারে। তাই তার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো বেশি করে জোর দিতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি পোষ্যের রোজের পরিচ্ছন্নতার উপরেও জোর দিতে হবে। পোষ্যকে এমন কিছু শ্যাম্পু বা তেল মাখাতে পারেন, যেগুলির উপকরণে অশ্বগন্ধা, নিমের মতো স্বাস্থ্যকর জিনিস রয়েছে। পোষ্যের যত্ন নিতে এগুলি কী ভাবে সাহায্য করে?
১) শব্দবাজি, গাড়ির হর্ন, চিৎকার-চেঁচামেচিতে ভয় পায় পোষ্যরা। কোলাহল থেমে গেলেও এই শব্দ পোষ্যের মনে প্রভাব ফেলে। তার থেকে জন্ম নেয় মানসিক উদ্বেগ। অশ্বগন্ধা সেই উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে।
২) পোষ্যের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অশ্বগন্ধার ভূমিকা অনবদ্য। শীতকালে জ্বর, সর্দিকাশিতে ভোগে পোষ্যরাও। শীতকালীন রোগের সঙ্গে লড়তে অশ্বগন্ধা দারুণ ভূমিকা পালন করে।
৩) পোষ্যের হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করতেও ভরসা রাখতে পারেন অশ্বগন্ধার উপর। অশ্বগন্ধার তেল দিয়ে পোষ্যকে মালিশ করে দিতে পারেন। তাতে হাড়ের ক্ষয় রোধ হবে।
৪) জ্বর, সর্দিকাশি, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া এবং পোষ্যের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে নিম হচ্ছে সবচেয়ে উপকারী একটি জিনিস। সংক্রমণজাত অসুস্থতা থেকে পোষ্যকে দূরে রাখতে নিম তেল, কিংবা নিম শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
৫) নিমে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। পোষ্যের ত্বকে অনেক সময় নানা সমস্যা দেখা যায়। র্যাশ, চুলকানি তো আছেই। এ ছাড়া ঘন লোমের কারণে ছোট ছোট পোকারও জন্ম হয় ত্বকে। তাতে পোষ্যের অস্বস্তি দ্বিগুণ হয়। পোষ্যকে স্বস্তি দিতে নিম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৬) ডায়াবিটিসের আশঙ্কা থাকে পোষ্যদেরও। আপনার পোষ্যটি যদি ডায়াবেটিক হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে নিমপাতার মতো ভাল ওষুধ আর হতে পারে না। বাড়ির খুদে সদস্যটির মতো আদরের পোষ্যটিকেও তেতো খাওয়ানো ঝামেলার। পোষ্যকে কী ভাবে নিমপাতা খাওয়াবেন সে ব্যাপারে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।