মনের মানুষ খুঁজে দেবে তিন মাসের ডেটিং-বিধি!
‘প্রেম এক বার এসেছিল নীরবে...’ গানের কলির মতোই কারও জীবনে প্রেম এসে ধরা দেয় নীরবে। কেউ তা বোঝেন, কেউ বোঝেন না। কারও জীবনে আবার সেই প্রেমের জন্যই বহু সাধ্য-সাধনা।
মনে যার ছবি আঁকা, তার খোঁজ কোথায় মিলবে? যদি বা ভাল লাগেও, কী ভাবে বোঝা যাবে, এই মানুষটির খোঁজই জীবনে ছিল?
পাড়ার কোচিং ক্লাস থেকে সরস্বতী পুজো, দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল। বছর ২০ পিছিয়ে গেলেও দেখা যাবে তখন প্রেমে পড়া, ভাল লাগায় ছিল অন্য সমীকরণ। সময় বদলেছে। বিশ্বায়নের ছোঁয়ায় ‘মনের মানুষ’-এর খোঁজে এখন ঢুঁ মারতে হয় ডেটিং বা ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে। সেখানে ছবি দেখে কাউকে ভাল লাগলেও তিনিই যে হয়ে উঠতে পারেন আপনার ‘তিনি’, তা বোঝা যাবে কী ভাবে? এ ব্যাপারে অবশ্য সাহায্য করতে পারে তিন মাসের ডেটিং বিধি।
তিন মাসের ডেটিং বিধি, অর্থাৎ, পছন্দের মানুষকে খোঁজা থেকে পছন্দ হওয়ার তিন অধ্যায়। এই তিন মাসে বুঝে নেওয়া যাঁর ছবি দেখে মন সাড়া দিচ্ছে, তিনি আপনার স্বপ্ন সঙ্গী কি না।
তিন অধ্যায়
১) প্রথম অধ্যায় বা ধাপে থাকে অচেনা সেই মানুষটিকে ভাল ভাবে বুঝে নেওয়া। পরিচয় যেখান থেকে যে ভাবেই হোক, প্রথম দর্শনেই তো আর মনের গভীরে পৌঁছনো যায় না। মনের তল পেতে দরকার কথার আদান-প্রদান। সে ক্ষেত্রেও প্রশ্ন আসে কথা বলতে কি দু’টি মানুষের আদৌ ভাল লাগছে? যদি ভাল লাগে, তবে সে আলাপচারিতা ব্যস্ততার ফাঁকেও পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টার পর ঘণ্টায়।
২) দ্বিতীয় ধাপে বুঝে নিতে হবে শুরুতে কথা বলায় যতটা ভাল লাগা ছিল, এক মাস পরেও কি ঠিক ততটাই আছে? দু’জন মানুষ ভিন্ন। তাদের পছন্দ-অপছন্দ আলাদা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সেই পছন্দের মধ্যে মিল বা অমিল কতটা! আদর্শ, মানসিকতায় কতটা ফারাক দু’জনের। এ সময়ে অনেকে মনে করেন, নিজের ভাল লাগা অনুযায়ী অন্য মানুষটিকে বদলে নেবেন। সেটা একটা বড় ভুল। মনে রাখতে হবে কাউকে বদলে ভালবাসা যায় না।
৩) তৃতীয় অধ্যায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার। প্রথম দেখা, কথা বলা, দু’টি মাস ধরে কথোপকথনের পর মনে কি সাড়া দিয়েছে? তৈরি হয়েছে কি কোনও অনুভূতি! কোনও মানুষের সঙ্গে মনের মিল হবে কি না, তা বুঝে নিতে বিচার-বিশ্লেষণের ভূমিকা থাকলেও অনুভূতির ক্ষেত্রে জোর খাটে না। ভাল লাগা তৈরি হলে মনের গহীনে সেই মানুষটির জন্য তৈরি হবে বিশেষ জায়গাও। মনের মিল, অনুভূতি দুই যদি একযোগে ধরা দেয়, মস্তিষ্কের পাশাপাশি হৃদয়ই বলবে এই মানুষটি তিনি। আর যদি তা না হয়, তা হলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আর একসঙ্গে এগোনোর দরকার আছে কি না!
তিন মাসের ডেটিং বিধি কি সকলের জন্য প্রযোজ্য?
আসলে এই তিন মাস দু’জন মানুষের দু’জনে চিনে-বুঝে নেওয়ার। জীবনসঙ্গী নির্বাচনে এই সময়টা যথেষ্ট নয়, মনে হতেই পারে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময়ের মেয়াদ বাড়তেই পারে।