Child Morning Habits

সকালে ঘুম থেকে ওঠার ১ ঘণ্টার মধ্যে কয়েকটি কাজ করলে পড়াশোনায় তুখোড় হবে শিশু

ঘুম ভাঙার পরে আলসেমি নয়, টিভির পর্দায় চোখও নয়, শিশুকে এমন কিছু কাজের অভ্যাস করান, যা তাদের মনোযোগ বাড়াবে। বুদ্ধির বিকাশ ঘটাবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৩০
Things kids should do within the first hour of waking up

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কী কী অভ্যাস রপ্ত করাবেন শিশুকে? ছবি: সংগৃহীত।

ঘুমচোখ খুলেই কী করে শিশু? বিছানা ছাড়তেই চায় না? আলসেমি করে শুয়ে থাকে, না কি মোবাইলে চোখ রাখে? সকালে ঘুম ভাঙার পরের এক ঘণ্টা সময় যদি মোবাইল বা ট্যাবে চোখ না রেখে বা টিভিতে কার্টুন না চালিয়ে শিশু কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারে, তা হলে তার বুদ্ধির বিকাশ হবে, মেধাও হবে তুখোড়। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে পারলে শরীরের পাশাপাশি মনও ভাল থাকে। ওই সময়েই মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই অনেকেই বলেন, ভোরবেলা উঠে পড়তে বসলে পড়া বেশি ভাল মনে থাকে।

Advertisement

ভোরে বা সকালে উঠতে না পারার অন্যতম কারণ রাতে দেরিতে ঘুমোনো। দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইল দেখা। শিশুকে যদি তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর অভ্যাস করানো যায়, তা হলে ভোরে উঠতে কোনও সমস্যাই হবে না। ভোরে ঘুম ভাঙার পরের এক ঘণ্টা সময়কে বলা হয় ‘গোল্ডেন আওয়ার’। ওই সময়ে সবচেয়ে আগে যা করা জরুরি, তা হল শরীরচর্চা। বিভিন্ন রকম স্ট্রেচিং, জগিং অভ্যাস করাতে পারেন শিশুকে। প্রাণায়াম, যোগাসন করলেও খুব ভাল।

ঘুম ভাঙার পরেই এক গ্লাস জল খেতে হবে। উষ্ণ গরম জল হলেও ভাল। তা হলেই শরীর আর্দ্র থাকবে। শরীরচর্চা করানোর পরেও পর্যাপ্ত জল খাওয়াতে হবে শিশুকে।

তৃতীয়ত, গায়ে রোদ লাগানো খুব জরুরি। সকালের হালকা রোদ ভিটামিন ডি সংশ্লেষে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি শিশুদের বাড়বৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরি। তা ছাড়া, সূর্যালোকে শরীর ও মনের ক্লান্তি কেটে যায়।

পুষ্টিকর প্রাতরাশ খাওয়াও অভ্যাস করাতে হবে শিশুকে। মাখন পাউরুটি, দুধ দিয়ে কর্নফ্লেক্স বা দুধ-ওট্‌স দিতে পারেন শিশুকে। উপরে ছোট ছোট করে ফল কেটে ছড়িয়ে দিন। এতে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়িও রেঁধে দিতে পারেন। ওট্‌স, ডালিয়াও পুষ্টিকর খাবার।

সকালের আরও একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হল মেডিটেশন বা ধ্যান। শিশুরা এমনিতেই চঞ্চল হয়। প্রথম প্রথম এক জায়গায় বসতে চাইবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে অভ্যাস করালে অন্তত ১০-১৫ মিনিট শান্ত হয়ে বসা শিখে যাবে। নিয়মিত ধ্যানে মনোযোগ, একাগ্রতা বাড়বে। বুদ্ধিরও বিকাশ হবে। পড়াশোনায় মন বসবে। নিজের লক্ষ্য স্থির করতে পারবে।

ঘরের কিছু টুকিটাকি কাজ করানোও শেখাতে হবে শিশুকে। যেমন ঘুম ভাঙার পরে নিজের বিছানা গুছিয়ে রাখা, পড়ার টেবিল সাজানো, গাছে জল দেওয়া— এই ছোট ছোট কাজের মধ্যে দিয়েই শিশুর দায়িত্ববোধ তৈরি হবে। নিজের পড়াশোনাও গুছিয়ে করতে পারবে।

আরও পড়ুন
Advertisement