কেমন ধরনের মানুষজনকে এড়িয়ে চলবেন, জেনে নিন। প্রতীকী ছবি।
মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে চান? সব সময়ে হাসিখুশি থাকতে সব ধরনের মানুষকে নিজের জীবনে প্রশ্রয় না দেওয়াই ভাল। এমন কিছু মানুষ আপনার চারপাশে ঘোরাফেরা করছেন, যাঁদের মানসিকতা সব সময় নেতিবাচক। এই ধরনের মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল। মনে হতেই পারে, তেমন মানুষজনকে চিনবেন কী ভাবে? তার কিছু উপায় আছে। কয়েকটি চরিত্রগত ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য দেখে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষজনকে চিনবেন কী ভাবে?
অযৌক্তিক সমালোচনা
মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এমন মানুষজন আছেন, যাঁরা সব সময় একপেশে বিচারবুদ্ধি নিয়ে চলেন। নিজের মানসিকতাকেই জাহির করার চেষ্টা করেন। এঁরা যে কোনও বিষয়েই সমালোচনা করতে ভালবাসেন। সমালোচনা ভাল তখনই, যখন সেটা যুক্তিগ্রাহ্য। কিন্তু ভাল হোক বা মন্দ— সব কাজেই অনাবশ্যক খুঁত ধরে বেড়ান যাঁরা, তাঁদের এড়িয়ে চলাই ভাল।
ঝুড়ি ঝুড়ি অভিযোগ
ছোটখাটো ব্যাপারেও যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল। এমন অনেক মানুষজন আছেন, যাঁরা কোনও ব্যাপারেই সন্তুষ্ট নন। এঁদের সাহচর্য মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অতিরিক্ত অলস
অলস প্রকৃতির মানুষদের কাছে ঘেঁষতে দেবেন না। মনোবিদের কথায়, এই ধরনের মানুষ কখনওই কোনও কাজে উৎসাহ দেখান না। তাঁদের বিমর্ষ মুখ চারপাশের মানুষজনের উপরেও প্রভাব ফেলে। এই সঙ্গে পড়লে কিছু দিন পর দেখা যাবে, আপনিও কোনও কাজে উৎসাহ পাচ্ছেন না।
অহঙ্কারী ও স্বার্থপর মানসিকতা
অহঙ্কারী ও স্বার্থপর মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করাই ভাল। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজন বা সহকর্মী— কথায় কথায় যদি কেউ আপনাকে ছোট করেন, আপনার সব কাজে ভুল ধরেন ও সমালোচনা করেন, স্বার্থপর মনোভাব নিয়ে চলেন, তা হলে তাঁদের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভাল।
ঈর্ষাকাতর
ঈর্ষাকাতর সহকর্মী বা বন্ধুর সঙ্গ নৈব নৈব চ। বহু মানুষ সামনে দেখান যে, তাঁরা আপনার কত শুভাকাঙ্ক্ষী, কিন্তু আড়ালে আপনারই ক্ষতি করার চেষ্টা করতে থাকেন। দেখবেন, এমন মানুষেরা সর্বদা আপনার খুঁত ধরবেন। আপনার প্রতিটা কথায় ব্যঙ্গ করবেন। প্রশংসা তাঁদের মুখে আসবেই না। যতই ভাল কাজ করুন অথবা তাঁদের উপকারও করুন না কেন, আপনার প্রশংসা কখনওই করবেন না তাঁরা। এমনকি, কৃতজ্ঞতাও জানাবেন না। এঁদের থেকে সাবধান।
পরনিন্দা-পরচর্চা
আপনি কি এমন কারও সঙ্গে মিশছেন, যাঁরা খুবই পরনিন্দা করেন? ভুলেও এঁদের ফাঁদে পা দেবেন না। এই ধরনের মানুষজন চূড়ান্ত নেতিবাচক । আপনাকে বিপদে ফেলতে পারেন।
লক্ষ্যহীন বন্ধু
এমন মানুষজনের সঙ্গ ত্যাগ করুন, যাঁদের জীবনে কোনও লক্ষ্যই নেই। ছন্নছাড়া জীবন কাটান। কোনও কাজই লক্ষ্য নিয়ে করেন না। জীবনে উন্নতি করার কোনও আগ্রহই নেই। এমন সঙ্গ চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।