সোনাক্ষী সিন্হা। ছবি: সংগৃহীত।
একসঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন সোনাক্ষী সিন্হা এবং জ়াহির ইকবাল। ২৩ জুন, রবিবার রাতে বিবাহসূত্রে বাঁধা পড়বেন দু’জনে। হিন্দুমতে না কি মুসলিম— সোনাক্ষী এবং জাহিরের বিয়ে কোন নিয়ম মেনে হবে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা ছিল। তবে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন সোনাক্ষীর হবু শ্বশুরমশাই ইকবাল রতনসি। তিনি জানিয়েছেন, সোনাক্ষী এবং জ়াহিরের বিয়ে কোনও ধর্মের নিয়ম অনুসরণ করে হচ্ছে না। মুসলিম পরিবারে বিয়ে হলেও, সোনাক্ষী তাঁর নিজের ধর্ম পরিবর্তন করবেন না বলেই সূত্রের খবর। ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’ অর্থাৎ, বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে হবে সোনাক্ষী-জ়াহিরের। এর আগে অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর এবং সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদেরও বিয়েও হয়েছে এই আইন মেনে।
বিশেষ বিবাহ আইন কী?
ভারতে বিবাহ সংক্রান্ত তিন ধরনের আইন আছে। ১) হিন্দু বিবাহ আইন ২) মুসলিম বিবাহ আইন এবং ৩) বিশেষ বিবাহ আইন। ১৯৫৪ সালের ৯ অক্টোবর সংসদে এই বিশেষ বিবাহ আইন পাশ করা হয়। কোনও ধর্মীয় আচার না মেনে বিবাহবন্ধনের অধিকার দেয় এই আইন। এই আইন ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলে না। ধর্মীয় পরিচয় অপরিবর্তিত রেখেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায়।
এই আইনের অধীনে কারা বিয়ে করতে পারেন?
সব ধর্ম ও বর্ণ পরিচয় নির্বিশেষে সকল ভারতীয় নাগরিক এই আইন মতে বিয়ে করতে পারেন। এমনকি, যাঁরা ধর্ম পরিচয়ের বাইরে রাখতে চান নিজেদের, তাঁরাও এই আইনে বিয়ে করার অধিকার পান।
এই আইনের অধীনে বিয়ে করার পদ্ধতিগুলি কী?
এই আইন অনুসারে বিয়ে করার কিছু নিয়ম আছে। প্রথমে হবু দম্পতিকে বিয়ের অন্তত এক মাস আগে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসারের কাছে বৈধ নথি-সহ দরখাস্ত জমা দিতে হবে। অনলাইনেও আবেদন করা যেতে পারে। এই সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে আবেদন করা যায়। তবে অনলাইনে আবেদন করলেও বর এবং কনে উভয়েরই রেজিস্ট্রি দফতরে যাওয়া বাধ্যতামূলক। বর এবং কনে উভয়ের নথিপত্র যাচাই করে এই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এবং সেই চিঠি দু’বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রির দিন সেই চিঠি সঙ্গে রাখতে হয় উভয় পক্ষকেই। বর এবং কনে উভয় পক্ষ থেকে তিন জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ের রেজিস্ট্রিপত্রে সই করেন দু’জনে।